Panchayat Election: রাজ্যের প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাতেখড়ি, ৯০ বছরেও লড়ছেন অপরাজেয় গোপাল!
চম্পক দত্ত: ৯০-এ পা তবুও নির্বাচনে লড়ছেন অপরাজেয় গোপাল। জীবনে হারতে শেখেননি তিনি। কখনও দলীয় প্রতীকে, কখনও নির্দল। জয় তিনি ছিনিয়ে এনেছেন। ১৯৬৫ সাল থেকে টানা জিতে এসেছেন তিনি। তাই নিশ্চিত এবারও গোপাল-ই জয়লাভ করবেন। এমনটাই বলছেন এলাকার মানুষ থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও।
গ্রামের মানুষজনরা অনেকেই বলেন, রাজ্যে প্রথম যখন পঞ্চায়েত নির্বাচন শুরু হয়েছিল, তখন থেকেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি দাসপুরের গোপাল নন্দীর। চর্চার বিষয় হল রাজনীতিতে কখনও হারতে শেখেননি গোপাল। ৩৪ বছরের বাম জমানাও তাঁকে দমন করতে পারেনি।
গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি, বিভিন্ন সময় রাজনীতিতে ব্যাপক পরিমাণে জয় লাভ করেছেন। তারপরে সামলেছেন একাধিক দ্বায়িত্ব। রাজ্য রাজনীতিতে যেখানে দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ শাসকদলের নেতাকর্মীরা। সেখানে গোপাল বাবু-ই তৃণমূলের উজ্জ্বল মুখ বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
দেওয়াল লিখতে হবে না, দলীয় পতাকা নিয়ে ঘুরতে হবে না। তৃণমূলের প্রার্থী গোপাল নন্দী এটাই শেষ কথা। ৯০ বছরের গোপাল নন্দী এবারও পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তিনি লড়ছেন তৃণমূলের হয়ে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০৫ নম্বর বুথের গোবিন্দনগরের বাসিন্দা গোপাল নন্দী। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। কংগ্রেসের হয়েই প্রথমে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। এবার গোপাল নন্দী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সব থেকে প্রবীণ তৃণমূলের প্রার্থী।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোপাল নন্দীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন বাম-কংগ্রেস সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। যদিও এলাকার বিরোধী কংগ্রেস প্রার্থীর দাবি, তিনি একাধিকবার গোপালবাবুর কাছে রাজনীতিতে পরাস্ত হয়েছেন। এবারও হয়তো হবেন, তবুও তিনি রাজনীতিতে লড়ছেন।
বিরোধীরাও একবাক্যে স্বীকার করছেন যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাজারো দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যেও গোপালবাবুর গায়ে কোনও দুর্নীতির রং লাগেনি।