Durgapur: ভরসার সেতুই এখন জীবন নিতে পারে! দামোদরে তলিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে কাঁপছেন বাসিন্দারা...
চিত্তরঞ্জন দাস: দক্ষিণ ভারত থেকে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া হয়ে দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজের সেতুর উপর দিয়ে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ-সহ উত্তরবঙ্গ যাওয়ার অন্যতম রাস্তা এই সেতু। এই সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার দশেক ভারী যান চলাচল করে। সেতুর রাস্তা মেরামতি হয়। কিন্তু যে পরিমানে ভারী গাড়ি যাতায়াত করে, সেইভাবে মেরামতি হয় না। বর্ষাকাল, এই কয়েক দিন প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা এমনিই খারাপ ছিল।
অতি বৃষ্টির ফলে এই সেতু প্রায় ৭৫০ মিটার রাস্তায় কোনও কোনও জায়গায় ছয় ইঞ্চি মত গর্ত হয়ে যায়। বৃষ্টিতে জল জমে থাকলে আরও সমস্যা বাড়ে। কোথায় কতটা গর্ত আছে বোঝা যায় না। তার ফলে দুর্ঘটনা আরও বাড়ে বলে অভিযোগ এই সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী নিত্যযাত্রীদের।
স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, 'রাতের বেলা আসা যাওয়া করতে গেলে দুর্ঘটনার ভয় থাকে। সবসময় জ্যাম লেগে থাকে। বৃষ্টির পড়লে গর্তের মধ্যে কতটা জল, সেটা কেউ বুঝতে পারছে না। ভয়ে রাস্তা পেরোতে পারছে না।'
সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার এর বক্তব্য, 'এই ভালভাবে মেরামতি করতে গেলে ৫০-৬০ দিন সময় লাগবে। সেই রাস্তা একদিক বন্ধ রেখে কাজ করতে হবে। সেটা পুজোর আগে সম্ভব নয়। এখন পট হোল গুলো বোঝানো হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাতের কারণে ভারী গাড়ি যাতায়াতের ফলে পট হোল বোজালেও আবার খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তবে ছট পুজোর পর নয়শো মিটারের মত রাস্তা ম্যাস্টিক রাস্তা হবে কোটি টাকার উপর খরচ করে।'
কিন্তু এই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষের দাবি, জীবন হাতে নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তাই অতি দ্রুত মেরামতির ব্যবস্থা নিক সরকার। প্রায় দিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে।