অফবিট তেপান্তর! এই বর্ষায় হাত বাড়ালেই মেঘ-মাখানো বনপাহাড়ির দেশ পাসাবং...
এখানেই উদ্বোধন হয়ে গেল পাসাবং হিল রিভার ট্রেইল বা এইচআরটি কটেজ রিসর্টের। প্রতিটি কটেজই ডাবলবেড। দুটি পরিবার একত্রে একটি কটেজেই রাত্রিবাস করতে পারবেন। আবার ছয়-সাত জনের বন্ধুদের দলও অনায়াসে একটি কটেজে থাকার সুবিধে পাবেন। রয়েছে প্রশস্ত ডাইনিং হল, নদীর ধারে বসবার ব্যবস্থা।
এই হোমস্টের পাহাড়ের ঢালে রয়েছে সামাবিয়ং চা-বাগান। পাহাড়-বনঘেরা সুন্দর পরিবেশ। মালবাজার শহর থেকে লাভা হয়ে এই এলাকাতে পৌঁছতে দূরত্ব ৪১ কিমি। ঝান্ডি হয়ে গেলে ৩৯ কিমি। শহর পেরিয়ে চা-বাগান, বন-পাহাড় দেখতে দেখতে ঘণ্টাদেড়েক সময় লাগবে গন্তব্যে পৌঁছতে।
প্রকৃতি ছুঁয়ে থাকার এমন উদ্যোগের কান্ডারী রাজেন প্রধান। পর্যটনে নতুন নতুন সব ভাবনার দিশারি রাজেনই স্থানটি নির্বাচন করেছেন। বেকার বা উদ্যোগী তরুণ প্রজন্মকে অনেকটা সমবায়ের মতো করে বিনিয়োগে উৎসাহ দেন তিনি। আগামীদিনে পাসাবংয়ের মডেল অন্যান্য স্থানেও লক্ষ্য করা যাবে বলে রাজেনবাবুদের উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে দাবি করা হয়। বলা হয়, পাহাড়ে তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থানের বিকল্প মাধ্যম।
উদবোধনের প্রথম দিনেই পর্যটকের ভিড় দেখা গিয়েছে। ট্রেকিং করে পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে বহু দূরে দেখা যাবে শিলিগুড়ি, মালবাজার-সহ ডুয়ার্সকে। এখান থেকে অন্যান্য টুরিস্ট স্পটগুলিও খুব কাছে। লাভা, লোলেগাঁও, রিশপ, ঝান্ডি, নকডারা। এক একটি রুমের ভাড়া ২৫০০ টাকা। খাওয়ার খরচ আলাদা। দোতালা এই রুমে ৬-৭ জন থাকতে পারবে বলে হোমস্টে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
বাংলার এক নতুন ট্যুরিস্ট স্পট। পাহাড়ঘেরা পাসাবং উপত্যকার মধ্যমণি গীতখোলা নদী। ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। মুষ্টিমেয় কিছু পরিবারের বাস। এই সুন্দর পাহাড়ি পরিবেশ।
তিন সুউচ্চ পাহাড়ের মাঝে উপত্যকা। মেঘের ছায়াঢাকা অপরূপ পরিবেশ পাশের পাহাড়ি নদীর কলতানে মনোমুগ্ধকর হয়ে যায়। সন্ধ্যা নামতেই তৈরি হয় নৈসর্গিক পরিবেশ। যাঁরা পাহাড়, বন ও নদীর তীরে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসেন তাঁদের কাছে এরকম স্থান আদর্শ গন্তব্য হতে পারে। (তথ্য ও ছবি: অরূপ বসাক)