সকালেই চারজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন! গ্লানি নেই, বরং বেজায় খুশি পবন জল্লাদ

Fri, 20 Mar 2020-4:53 pm,

দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষ তিনি। নির্ভয়ার চার দোষীকে শাস্তি দিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬০ হাজার টাকা। এই টাকায় এবার মেয়ের বিয়ে দেবেন পবল জল্লাদ। জানালেন নিজেই। সঙ্গে বললেন, কোনও গ্লানি নেই। এই দিনটার জন্য আমি অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করেছি। আজ আমি দারুণ খুশি। হাসতে হাসতে কথাগুলো বলার সময় তাঁর চোখ—মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল।সারা

সারা বছর ঠেলায় ফল, সবজি বিক্রি করেন তিনি। তবে মেরঠের জেলে তিন ফাঁসুড়ে হিসাবে কাজও করেন। সেখান থেকেপান মাত্র তিন হাজার টাকা। পবন জল্লাদের বাবা, দাদাও ফাঁসুড়ে ছিল। পবনের ছোট ছেলেও পারিবারিক পরম্পরা বজায় রাখতে চান। হতে চান ফাঁসুড়ে।  

নির্ভয়ার চোর দোষীকে ফাঁসিতে ঝোলানোর আগে একাধিকবার মহড়া সেরেছিলেন পবন। বালির বস্তা দিয়ে হয়েছিল মহড়া। বারবার ফাঁসির তারিখ পিছিয়ে যাওয়ায় কিছুটা হতাশ হয়েছিলেন বলে জানালেন পবন। 

একসঙ্গে চারজনকে ফাঁসিতে ঝোলানোর কাজটা সহজ ছিল না। পবন জানিয়েছেন, তিনি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন। সেইসঙ্গে প্রস্তুতিতেও কোনও খামতি রাখেননি। পবনের মতো সারা দেশের অসংখ্য মানুষ নির্ভয়ার চার দোষীর ফাঁসির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। 

ত্রুটিহীনভাবে ফাঁসি দিতে পারেন পবন। তাই ৫৭ বছর বয়সী মেরঠের এই ফাঁসুড়েকে বেছে নিয়েছি্‌ল তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। আর জেল কর্তৃপক্ষের মান রাখতে পেরে পবনও এখন বেজায় খুশি।তার থেকেও বড় কথা, দোষীদের শাস্তিও হল, আবার ভাল অঙ্কের অর্থও উপার্জন হল। দিন আনি দিন খাই মানুষের কাছে এর থেকে বড় পাওনা আর কী হতে পারে। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link