Bangladesh Padma Multipurpose Bridge: `স্বপ্নের সেতু` নিয়ে পদ্মার ঢেউয়ের মতোই আবেগে উত্তাল বাংলাদেশ
গতকাল শনিবারই বহু প্রতীক্ষিত এই 'পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ'-এর (Padma Multipurpose Bridge) উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Bangladesh Sheikh Hasina)। ব্রিজের প্রথম টোলও দেন তিনিই।
যে পথ অতিক্রম করতে এতদিন (ফেরিতে) ১০-১১ ঘণ্টা সময় লাগত, এখন এই নতুন সেতুর সূত্রে মাত্র ঘণ্টাখানেকেই সেই দূরত্ব পার করা যাবে। পদ্মা সেতু তৈরির ফলে ঢাকার সঙ্গে সড়কপথে যুক্ত হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর 'মঙ্গলা'। সড়ক এবং রেলপথে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঢাকা যাওয়ার সময়টাও একধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে বলেও শোনা যাচ্ছে।
এই সেতুর লম্বা ইতিহাস। ২০১১ সালে পদ্মা সেতুর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। পরে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাঙ্ক অর্থের জোগান বন্ধ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Bangladesh Sheikh Hasina) ঘোষণা করেন, কারও সাহায্যে নয়, বাংলাদেশ নিজেদের সামর্থ্যেই পদ্মা সেতু গড়বে। ২০১৪ সাল থেকে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয় এই সেতু।
পদ্মা সেতু (Padma Multipurpose Bridge) নির্মাণে একযোগে কাজ করেছেন ভারত, চিন, আমেরিকা, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর, জাপান, ডেনমার্ক, ইতালি, মালয়েশিয়া, কলম্বিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, নেপাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞ ও ইঞ্জিনিয়ররা।
৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু ৯১৮ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করে তৈরি হয়েছে।
২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল এই সেতুর। উদ্বোধন হল ২৫ জুন, ২০২২ সাল। জানা গিয়েছে, দৈনিক ৭৫ হাজার যান পরিবহণে সক্ষম হবে এই সেতু। জলস্তর থেকে ১৮ মিটার উচ্চতায় তৈরি এটি। ইংরেজি এস (S) অক্ষরের মতো আকৃতির এই সেতু সম্ভব করবে ঢাকার সঙ্গে ২১টি জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ। এর ফলে উপকৃত হবেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩ কোটি মানুষ।