অফিস খুললে কর্মীদের জন্য গাড়ি, স্বাস্থ্যবিমা বাধ্যতামূলক করতে হবে: কেন্দ্র
আগামী ৩ মে পর্যন্ত জারি লকডাউন। তবে, আগামী ২০ এপ্রিলের পর থেকে দেশজুড়ে লকডাউন ধাপে ধাপে পরিকল্পিতভাবে শিথিল করার আভাস দিয়েছে কেন্দ্র। ওইদিনের পর থেকে দেশের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে অফিস, দফতর, ব্যবসা আংশিকভাবে খোলার অনুমতি দেবে কেন্দ্র। তবে সেক্ষেত্রেও জারি থাকবে একাধিক বাধ্যতামূূলক স্বাস্থ্যবিধি। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গিয়ে যাতে করোনাভাইরাস না ছড়ায়, সে বিষয়ে সতর্ক কেন্দ্র। দেখে নিন ২০ এপ্রিলের পর থেকে অফিসগুলির বাধ্যতামূলক নিয়মাবলী:
গণপরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকবে। তাই কর্মীদের আনতে অফিসগুলিকে গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু তাই নয়, গাড়িগুলি যাত্রী বহনের ক্ষমতার ৩০-৪০% কেবল ব্যবহার করা হবে। অর্থাত্ বড় ৯ সিটার গাড়িতে ৩ জন কর্মী তোলা যাবে। গাড়িগুলি প্রতিবার প্রবেশের আগে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে।
প্রতিটি কর্মীর স্বাস্থ্য বিমা বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে।
৫ বছরের কম বয়সী শিশু আছে এমন মা-বাবাদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
অফিসে প্রবেশের সময়ে গেটে প্রত্যেক কর্মীর থার্মাল স্ক্রিনিং অর্থাত্ তাপমাত্রা যাচাই করে দেখতে হবে।
অফিস প্রবেশের আগে বাইরেই হাত পরিস্কার করতে ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
প্রতিটি শিফ্টের মাঝে ১ ঘণ্টা করে ব্যবধান রাখতে হবে। এর ফলে ঢোকা-বের হওয়ার সময়ে সামাজিক দূরত্ব কমার আশঙ্কা কমবে।
শিফটের ব্যবধানে এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর অফিসের টেবিল, কম্পিউটার, দরজার নব ইত্যাদি বার বার জীবাণুনাশক দিয়ে মুছতে হবে।
ক্যাফেটেরিয়া, লিফট, বারান্দা ইত্যাদি স্থানেও যাতে একসঙ্গে অনেকে জড়ো না হয়, সেদিকে নজরদারি রাখতে হবে। ৫ জনের বেশি একই স্থানে জড়ো হওয়া যাবে না।
অফিসে পান, গুটখা ইত্যাদির সেবন নিষিধ্ধ করতে হবে।
প্রত্যেক কর্মীকে আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে করোনাভাইরাস সম্পর্কে আরও সচেতন হতে অনুরোধ করতে হবে।