আরামবাগে করোনা শ্মশান তৈরি নিয়ে হুলস্থুল কাণ্ড, পুলিসের লাঠিচার্জ, আটক ১১
নিজস্ব প্রতিবেদন: যেখানে সেখানে করোনা মৃতদেহ পোড়ানোর বদলে একটি করোনা শ্মাশান করার সিদ্ধান্ত নেয় আরামববাগ প্রশাসন। সেইমতো সোমবার আরামবাগ মহকুমা শাসকের দফতরে স্থানীয় থানা এবং পুরপ্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করে মহকুমা শাসক।
সেই বৈঠকে আরামবাগের পল্লিশ্রী এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদীর তীরে কালিপুর সেতুর নীচে একটি বিশাল ফাঁকা জায়গায় করোনা শ্মশান তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয় শ্মশানটিকে টিন দিয়ে ঘিরে পুরো এলাকা স্যানেটাইজ করা হবে।
সেইমত মঙ্গলবার বেলার দিকে কাজ করতে হাজির হয় শ্রমিকরা। করোনা শ্মাশান হবে, সমস্যা হতে পারে আইনশৃঙ্খলার। সেই কথা মাথায় রেখেই ঘটনাস্থলে মোতায়েন হয় প্রচুর পুলিস এবং RAF। পুলিস হাজির হওয়ামাত্র ঘটনাস্থলে জমায়েত হতে শুরু করে এলাকার বাসিন্দারা। এরপর শুরু হয় প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ।
এলাকার মানুষের দাবি পাশেই কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। এখানে করোনা শ্মাশান হলে গ্রামে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাবে। দূষিত হবে দ্বারকেশ্বর নদীর জল। তাই কোনও ভাবেই এখানে শ্মশান করতে দেওয়া হবে না। প্রতিবাদ , বিক্ষোভের পাশাপাশি শুরু হয় অবরোধ। এরফলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিস প্রথমে গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। ঝামেলা ক্রমশই বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে পুলিস লাঠিচার্জ করে গ্রামবাসীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে গ্রামবাসীরা।
পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় গ্রামবাসীদের। লাঠিচার্জও করতে হয়। আগুনে ঘি পড়ার মত উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। মহিলা-সহ পুলিস ১১ জনকে আটক করেছে। এরপর এলাকায় বিরাট পুলিসবাহিনী মোতায়েন করে শ্মাশান তৈরির কাজ শুরু করেছে আরামবাগ প্রশাসন।