লাফিয়ে বাড়ল আলুর দাম আর দায়ী মধ্যবিত্তরাই! জানুন কারণ
অয়ন ঘোষাল: সাত দিনে গড়ে সাত টাকা বাড়ল আলুর কেজিপ্রতি দাম। চন্দ্রমুখী আলু 28 থেকে বেড়ে এখন ৩৫। জ্যোতি ২২ থেকে বেড়ে কোথাও ২৮ কোথাও ৩০। কেন দাম বাড়ল, তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত।
৩. লক ডাউন ও আমপান ত্রাণে বিভিন্ন দল ও ক্লাব বস্তা বস্তা আলু তুলে নেওয়ায় বাজারে জোগানে ঘাটতি হওয়ায় দাম বেশি। ৪) লোকাল ট্রেন বন্ধ। ভেন্ডার কামরায় আলু আনা যাচ্ছে না। ট্রাকে আনতে হচ্ছে। জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য দাম বেশি ।
পোস্তা আলু পট্টি ব্যবসায়ী সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট অবধেস প্রসাদ অবশ্য দেখাচ্ছেন অন্য যুক্তি। তাঁর বক্তব্য, আলুর ফলন ও জোগানে কোনো সমস্যা নেই। আমপানের জেরে অন্য সব্জির ফলন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত । তার ওপর লোকাল ট্রেন বন্ধ। ফলে অন্য সব্জি বাজারে প্রায় আসছে না বললেই চলে। তাই মানুষ শুকনো সব্জি হিসেবে অস্বাভাবিক বেশী পরিমাণে আলু কিনছেন । লক ডাউনের শুরু থেকেই এই প্রবণতা চলছে।
যে ক্রেতা দিনে ১ থেকে ২ কিলো আলু কিনতেন, তিনি ৫ থেকে ১০ কিলো আলু কেনা শুরু করেছেন। ফলে ফলন পর্যাপ্ত থাকলেও খুচরো বাজারে স্টক কম পড়ে যাচ্ছে। পোস্তায় আজ কেজিপ্রতি জ্যোতি আলু ১২ টাকা ৮০ পয়সা । সেই আলু পাইকার ও ফড়েদের হাত ঘুরে খুচরো বাজারে ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভিন রাজ্য, বিশেষত বিহার, ওড়িশা, অন্ধ্রে এ রাজ্যের প্রচুর আলু রফতানি করা হয়েছে । তার ওপর স্থানীয় চাহিদা আকাশছোঁয়া। তাই দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।
কারণ যাই হোক, সমস্যার খাঁড়া সেই নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের। যারা বলছেন, আলু সিদ্ধ ভাত খেয়ে দিন কাটানোও ক্রমশঃ কঠিন হয়ে পড়ছে।