Protein Poisoning: দেদার মাছ-মাংস খাচ্ছেন? সাবধান! অতিরিক্ত প্রোটিনে বিপদ ডাকছেন শরীরে
নিজস্ব প্রতিবেদন: শরীর সুস্থ রাখতে অন্যতম অপরিহার্য উপাদান প্রোটিন (Protein)। পেশির গঠনে (Muscle Building) ও হাড় মজবুত, ত্বক ও চুলের পুষ্টির জন্য প্রোটিন একান্ত প্রয়োজনীয়। শুধু তাই নয়, ওজন কমাতেও দরকার প্রোটিন। অনেকেই তাই ডায়েটে বেশি করে মাছ-মাংস ডিম রাখেন। এছাড়াও দুধ, বাদাম, পনীর, ঘি-মাখন থেকেও প্রোটিন মেলে। কিন্তু প্রয়োজনের চেয়ে বেশি প্রোটিন (Excess Protein) খেয়ে নিচ্ছেন না তো? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রোটিনের মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণের ফলে শরীরে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব দেখা দিতে পারে।
গবেষণা বলছে, শরীরে প্রতি কিলোগ্রাম ওজনে এক গ্রাম প্রোটিনের দরকার হয়। কিন্তু তা কার্বোহাইড্রেটস বা প্রয়োজনীয় ফ্যাটের তুলনায় বেশি হয়ে গেলে তাকে 'প্রোটিন পয়জনিং' বলা হয়। শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক প্রোটিনের আধিক্য? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
শরীরে প্রোটিনের আধিক্য হলে নেগেটিভিটি, মুড স্যুইংয়ের মতো সমস্যা বাড়তে পারে। শুধু তাই নয়, আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মতো প্রোটিনের মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণের ফলে অবসাদ ও দুশ্চিন্তাও বাড়ে। ব্রেনে সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা কমে যায়। যার জন্য় সঠিক মাত্রায় প্রোটিন নিতে পরামর্শ চিকিৎসকদের।
ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট একেবারে ছেঁটে ফেলা উচিত নয় বলেই মত চিকিৎসকদের। প্রোটিনের আধিক্য ও কার্বোহাইড্রেটের অনুপস্থিতির ফলে শরীরে কেটোসিস পর্যায় লক্ষ্য করা যায়। শরীরে সঞ্চিত কার্বোহাইড্রেট ক্ষয় হতে থাকে। এনার্জি সংগ্রহে ফ্যাট বার্ন হতে থাকে এই সময়ে। যার ফলে মুখ ও শরীর থেকে দুর্গন্ধের মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।
শরীর সুস্থ রাখতে জলের মাত্রা ঠিক থাকা দরকার। কিন্তু অধিক মাত্রায় প্রোটিন গ্রহণের ফলে ডিহাইড্রেশনসহ হজমের সমস্যাও দেখা যায়। যার ফলে মূত্রের সঙ্গে শরীর থেকে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বেরিয়ে যায়।
হার্ট ভালো রাখতে প্রোটিন প্রয়োজনীয়। যদিও এর মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণ হার্টের পক্ষেও বিপদ ডেকে আনতে পারে। ডিম ও দুগ্ধজাত বিভিন্ন দ্রব্যের মধ্যে ফ্যাট থাকায় তা শরীরে ফ্যাটের পরিমাণও বৃদ্ধি করে। শুধু তাই নয়, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই নিয়ম মেনে প্রোটিন গ্রহণেই সায় চিকিৎসকদের।