ফাঁসি থেকে শুরু করে পুরুষাঙ্গ কর্তন, ধর্ষণের শাস্তি কোন দেশে কেমন!

Sat, 07 Dec 2019-3:55 pm,

কোথাও পুরুষাঙ্গ কর্তন! কোথাও আবার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফাঁসি। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের কোন দেশে ধর্ষণের কেমন শাস্তি! হায়দরাবাদে পশু চিকিতসক ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে খতম করেছে পুলিস। তার আগে থেকেই অবশ্য গোটা দেশ ধর্ষকদের চূড়ান্ত শাস্তির দাবি করেছিল। ভারতীয় সংবিধানে ধর্ষককে ৭ বছর থেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার আইন রয়েছে। তবে পরিস্থিতি ও অপরাধের ধরণ অনুযায়ী, ধর্ষককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নজিরও রয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র- ট্রাম্পের দেশে দুই ধরনের আইন প্রচলিত – অঙ্গরাজ্য আইন এবং ফেডারেল আইন। ধর্ষণ মামলা ফেডারেল আইনের আওতায় পড়লে ধর্ষককে অর্থদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে অঙ্গরাজ্য আইনের অধীনে মামলা হলে সাজার প্রকৃতি নির্ভর করে। কারণ একেক অঙ্গরাজ্যে ধর্ষণের শাস্তি একেক রকম হয়।

গ্রিস- ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে একমাত্র শাস্তি আগুনে পুড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড।

ফ্রান্স- ধর্ষণের শাস্তি অন্তত ১৫ বছরের কারাদণ্ড। তাছাড়া ধর্ষিতার মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি কতটা গুরুতর, তার ওপর নির্ভর করে ধর্ষকের সাজা বাড়িয়ে ৩০ বছর থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ড পর্যন্তও করা হয়।

রাশিয়া- কমপক্ষে ৩ বছরের কারাদণ্ড। অপরাধের ধরণ অনুযায়ী ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

সৌদি আরব- ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে রায় ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যেই শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি- যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি। অপরাধ প্রমাণের ৭ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

চিন- ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। অপরাধ গুরুতর হলে যৌনাঙ্গ কর্তন করা হতে পারে। 

ইরান- ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ হলে অপরাধীকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বা গুলি করে মৃত্য়ুদণ্ড দেওয়া হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ধর্ষিতা চাইলে অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link