অভিভাবকহীন হয়ে পড়লেন অধীর, সোমেনের কোনও শত্রু না, বললেন প্রদীপ, আকস্মিকতায় স্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী
চলে গেলেন সোমেন মিত্র। আর ফেলে রেখে গেলেন এক নস্ট্যালজিয়া। রাজনীতির জগতে হল ইন্দ্রপতন। বর্ষীয়ান এই নেতার প্রতি অন্তর থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাঁর সহকর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করলেন, “আচমকাই খবরটা শুনে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল।”
বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বললেন, “সোমেন মিত্র আর নেই এটা ভাবতে পারছি না। বাংলার একটা অধ্যায় সমাপ্ত হল। সংগ্রাম করে, প্রতিকূলতার মোকাবিলা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।আমার রাজনৈতিক অভিভাবক, আমাকে জনপ্রতিনিধি করার মূল কারিগর সোমেন দা কে হারিয়ে আমি মর্মাহত।”
কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বললেন, “আমি ভাবতেই পারছি না সোমেন মিত্র নেই। এই সেদিনও আমার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। সোমেন মিত্রের কোনও শক্রু ছিল না। বাংলার রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে।”
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “পশ্চিমবাংলায় যে রাজনীতির পরম্পরা ছিল, তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য দু’চারজন যে লোক ছিলেন তাঁর মধ্যে একজন সোমেনবাবু। তাঁর চলে যাওয়া একটা অধ্যায় শেষ হওয়া।”
খবর পাওয়ার পরই বৃহস্পতিবার সকালে বেলভিউ হাসপাতালে ছুটে যান প্রাক্তন সিপিআই নেতা সমীর পুততুণ্ড। তিনি বলেন, “রাজনীতির জগতে যে কত বড় ক্ষতি হল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা আমাদের এক সহকর্মী, যোদ্ধাকে হারালাম।”