কলেজ স্কোয়ারে অষ্টমীর অঞ্জলি দেবেন রাহুল গান্ধী!
গুজরাটের বিধানসভা ভোটের আগে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরেছিলেন রাহুল গান্ধী। তারপর কর্ণাটকের নির্বাচনেও মন্দিরদর্শন করেছেন গান্ধী পরিবারের তনয়। এবার লোকসভা ভোটের আগে বাঙালির সবচেয়ে বড় উত্সব দুর্গোত্সবে সামিল হতে চলেছেন কংগ্রেস সভাপতি।
কলেজ স্কোয়ারে অষ্টমীর দিন আসবেন রাহুল গান্ধী। অষ্টমীর অঞ্জলিও দেবেন কংগ্রেসের সভাপতি।
শোনা গিয়েছে, তাঁকে পুজোয় আসার অনুরোধ করেছিলেন রাজ্যের নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি।
সম্প্রতি কৈলাসে মানসরোবর যাত্রাও করে এসেছেন রাহুল গান্ধী। সেখান থেকে ছবি দিয়ে টুইট করেছিলেন, 'মহাদেবই ব্রহ্মাণ্ড'। শুধু তাই নয়, দিন কয়েক আগে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র অমেঠিতে শিবভক্তদের সভায় কপালে চন্দন লেপে গিয়েছিলেন রাহুল। সেখানে সমস্বরে আওয়াজ উঠেছিল, 'হর হর ব্যোম ব্যোম'। কংগ্রেসের সভায় এই ধরনের স্লোগান আগে কখনও শোনা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গুজরাটের নির্বাচনী প্রচারে শিবভক্ত বলে দাবি করেছিলেন রাহুল গান্ধী। এমনকি ভরা সংসদেও নিজেকে শিবভক্ত হিসেবে তুলে ধরেছিলেন তিনি। সোমনাথ মন্দিরে রাহুলের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে বিতর্ক দেখা দেওয়ায় কংগ্রেস দাবি করেছিল, রাহুল গান্ধী পৈতেধারী হিন্দু। বিহারে আবার রাহুলের নামের পাশে 'ব্রাহ্মণ' হিসেবেও ব্যানার দেখা গিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশেও নির্বাচনী প্রচার শুরুর আগে চিত্রকূটে দেবদর্শন করেন রাহুল গান্ধী। এমনকি 'শিবভক্ত' রাহুল গান্ধীর পোস্টারও পড়েছে সে রাজ্যে। এলাহাবাদে কংগ্রেসের পোস্টারে আবার 'রামভক্ত' হিসেবে দেখানো হয়েছে রাহুল গান্ধীকে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, গুজরাট নির্বাচনের পর থেকেই রণকৌশল বদলেছে কংগ্রেস। 'নরম হিন্দুত্বে'র পথে হাঁটতে শুরু করেছিল তারা। এবার যত লোকসভা ভোট এগিয়ে আসছে, আরও 'হিন্দুত্বে'র পথে হাঁটছেন রাহুল গান্ধী।
কংগ্রেসের সেই কৌশলের অঙ্গ হিসেবেই রাহুল গান্ধী দুর্গোত্সবে অংশ নিতে চলেছেন বলে মনে করছেন অনেকে। উল্লেখ্য, স্মরণাতীতকালেও গান্ধী পরিবারের সন্তানকে দুর্গোত্সবে অংশ নিতে দেখা যায়নি।
কংগ্রেসের সেই কৌশলের অঙ্গ হিসেবেই রাহুল গান্ধী দুর্গোত্সবে অংশ নিতে চলেছেন বলে মনে করছেন অনেকে। উল্লেখ্য, স্মরণাতীতকালেও গান্ধী পরিবারের সন্তানকে দুর্গোত্সবে অংশ নিতে দেখা যায়নি।