চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে নদীর চরে মুখ গুঁজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে রইলেন রেলকর্মী! ভয়ানক ঘটনার নেপথ্যে জটিল রহস্য

Sun, 02 Aug 2020-3:16 pm,

সাত সকালে দুর্ঘটনা।  চলন্ত ট্রেন থেকে নদীতে পড়ে গেলেন গার্ড। আর নদীর চরে মুখ গুঁজে ওভাবেই পড়ে রইলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে।

রবিবার সকাল ৬টা৫০ মিনিট নাগাদ রেলকর্মীদের নিয়ে রামপুরহাট থেকে বর্ধমানের দিকে আসছিল পেট্রোল স্পেশাল ট্রেনটি। বর্ধমান রামপুরহাট লুপলাইনের বোলপুর পেড়িয়ে ভেদিয়া স্টেশন ঢোকার আগে অজয় নদের ওপর ৩২ ফুঁকো সেতু পার হওয়ার সময়েই কোনওভাবে পড়ে যান শেষ কামরায় থাকা দেবীপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় নামে পঞ্চাশোর্ধ ওই গার্ড।

 প্রায় ৫০ ফুট উঁচু থেকে নদীগর্ভে পড়েন তিনি।নদীর ওই জায়গায় রয়েছে চর। সেখানে মুখ গুঁজে পড়ে থাকেন। ট্রেনটি সেতু থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দুরে ভেদিয়া স্টেশনে এসে থেমে যায়। তারপর রেলকর্মীরা সেতুর কাছে তড়িঘরি পৌঁছান। ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় রেলের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের। রেলের আধিকারিকরা ও আরপিএফ বোলপুর থেকে ভেদিয়া চলে আসেন। সকাল থেকে প্রায় সাড়ে তিনঘন্টা ওভাবেই যদিও পড়ে রইলেন ওই গার্ড।

 রেল থেকে দমকলবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। বোলপুর থেকে সকাল ১০ টা নাগাদ দমকলবাহিনী আসে। যদিও দীর্ঘক্ষণ টানাপোড়েন চলে ওই গার্ডকে উদ্ধার করা নিয়ে। কারণ অজয়নদের ওই অংশ বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান জেলা সীমান্ত এলাকা। শেষে আউশগ্রামের ছোড়া ফাঁড়ির পুলিশ ও স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতায় বেলা ১১ টা নাগাদ অজয়নদের চর থেকে উদ্ধার করে দেবীপ্রসাদবাবুকে। ছোড়া ফাঁড়ির পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমানে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

এদিকে এই ঘটনা নানা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। প্রথমত কিভাবে পড়ে গেলেন ওই গার্ড? এটা কি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে নিজেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন? দ্বিতীয়ত, সকাল পৌনে সাতটা থেকে টানা নদীর চরে পড়ে থাকার পরেও কেন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হল না?  যদিও এনিয়ে প্রশ্ন করা হয় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্মী আধিকারিকদের কয়েকজনকে। তারা কেউ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। পূর্ব রেলের মূখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, " বিষয়টি শুনেছি। কিভাবে ঘটনা ঘটল তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।"

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link