মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি চাই; দাবি সচিনের, ফের সংকটে রাজস্থান কংগ্রেস
সোমবার তাঁর ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছেন অশোক গেহলট। দলের ১০৭ কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে একশো জন রয়েছেন তাঁর সঙ্গে। নিজের বাসভবনে ডাকা এক জরুরি বৈঠকে যোগ দিয়ে ওইসব বিধয়করা গেহলটকে আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু তার পরেও সংকট কমছে না রাজস্থানে। কারণ এবার মারাত্মক দাবি করে বসেছেন সচিন পাইলট।
ঘনিষ্ঠ মহলে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ও রাজস্থান কংগ্রেসের প্রেসিডেন্টে দাবি করেছেন, গেহলটকে সরিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ দিতে হবে। এমনটাই খবর রাজস্থান কংগ্রেস সূত্রে। দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে তাঁর দাবি কথা জানিয়েছেন সচিন, এমনটাই দাবি সূত্রের।
মঙ্গলবার কংগ্রেস বিধান পরিষদীর দলের বৈঠকে যোগ দেননি সচিন। ফলে দিল্লি নেতারা মিটমাট বা আলোচনার দরজা খোল রয়েছে বলে যতই চেঁচান না কেন ঘাড় কাত করতে রাজী নন সচিন। সোমবারও একটি বৈঠক ডেকেছিলেন অশোক গেহলট। সেই বৈঠকেও যোগ দেননি সচিন-সহ মোট ১৬ বিধায়ক। মঙ্গলবার রাজস্থান কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ অবিনাশ পান্ডে জানান, দল চায় সচিনকে একটা সুযোগ দিতে। উনি আজকের বৈঠকে যোগ দিন।
রবিবার থেকে গোলমাল শুরু রাজস্থানে। উপ মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট একপ্রকার মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঝাড়া তুলে ধরেন। তাঁকে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে তিনি দৌড়ন দিল্লিতে। দাবি করেন তাঁর সঙ্গে ৩০ বিধায়ক রয়েছেন। এতেই চাপে পড়ে যায় হাইকমান্ড ও রাজ্যে কংগ্রেস। পরিস্থিতি সামাল দিতে সচিনের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলতে থাকেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, আহমেদ প্যাটেল, পি চিদম্বরম ও কে সি বেণুগোপালের মতো নেতা। তাতেও বাগে আসেননি সচিন।
রাজ্য রাজনীতিতে রটে যায় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সচিন। সেই রটনা অবশ্য উড়িয়ে দেন সচিন নিজেই। এই মুহূর্তে তাঁর গেহলটের সঙ্গে রয়েছে ১২৩ বিধায়কের সমর্থন। এমনটাই দাবি রাজস্থান কংগ্রেসের। ফলে সরকার পড়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই। তবে রাজ্যে দল অটুট রাখতে সচিন কাঁটা থেকেই গেল।