রাজীব গান্ধীর আমলে দেশে বদল এসেছিল এই ৫ ভাবে
দেশের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাত্র ৪০ বছর বয়সে শপথ নিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। দেশে কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা পড়ে যাওয়ার পেছেনে তাঁকে কিছুটা দায়ি করা হলেও তাঁর বেশকিছু উদ্যোগের ফল এখনও ভোগ করছে দেশবাসী। মাত্র ৫ বছর ক্ষমতায় থাকলেও দেশকে একুশ শতকের উপযুক্ত করে তোলার পেছনে তাঁর অবদান অস্বীকার করার নয়। সোমবার ২০ অগাস্ট তাঁর জন্মদিন।
রাজীবের আমলেই টেলিফোন সেক্টরে বিপ্লব এসেছিল। তথ্যপ্রযুক্তির যুগ তাঁর হাত ধরেই এদেশে শুরু হয়। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সূত্রপাতও হয় তাঁরই সময়ে। দেশের গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত টেলিফোনের সুবিধা আসে তাঁর আমলেই। তিনি চালু করে দেন পিসিও বা পাবলিক কল অফিস।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিপ্লব আসে রাজীবের আমলেই। কম্পিউটার, এয়ারলাইন্স, ডিফেন্স ও টেলিকমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন যন্ত্রের আমদানীর ওপর ট্যাক্স কম করে দিয়ে তিনি দেশে তা জনপ্রিয় করার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর আমলেই রেলে আধুনিকীকরণের শুরু হয়। কম্পিউটার চালিত টিকিট বুকিং সিস্টেম তাঁর আমলেই শুরু হয়।
ভোটদানের বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করে দিয়ে দেশে তোলপাড় ফলে দেন রাজীব। এর জন্য তিনি সংবিধান সংশোধনও করেন। ফলে দেশের তরুণদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়।
গণতন্ত্রের সুবিধা তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে রাজীবের অবদান। তাঁর আমলেই পঞ্চায়েতি রাজ সিস্টেমের ভিত তৈরি হয়। ১৯৯২ সালে সংবধিান সংশোধন করে পঞ্চায়েতি রাজ চালু করা হয়। এবছরই নিহত হন রাজীব। তবে তার এর ভিত আগেই তৈরি করে যান রাজীব।
রাজীবের আমলেই পাস হয় জাতীয় শিক্ষা নীতি। জওহর নবোদয় বিদ্যালয় তৈরি হয় এই জাতীয় শিক্ষা নীতি লাগুর পরই। গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রতিভাধর ছেলেমেয়েদের তুলে আনার ক্ষেত্রে এইসব স্কুলগুলি যথেষ্টই কাজ দেয়। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনা খরচে পঠনপাঠানের ব্যবস্থা হয় ওইসব স্কুলে।