Rani Rampal: ইতিহাসের দরজায়! বুধবার নামছেন টোকিয়ো অলিম্পিক্স সেমিফাইনালে
রানি রামপাল একটা অদম্য লড়াইয়ের নাম। হার-না-মানা একটা সঙ্কল্পের নাম। শৈশবের যে অবস্থা থেকে তিনি আজ যেখানে উঠে এসেছেন, এককথায় তা রূপকথা, তা কাব্য। পরিশ্রম, জেদ, ঘাম, রক্তের কাব্য।
মাত্র ছবছর বয়সে হকি খেলতে শুরু করেন Rani Rampal। হরিয়ানার শাহবাদ হকি একাডেমিতে হাতেখড়ি তাঁর। দ্রোণাচার্য পুরস্কারজয়ী কোচ বলদেব সিং ছিলেন তাঁর প্রশিক্ষক।
কিন্তু হকি স্টিক কেনারই তো পয়সা ছিল না রানির। শরীরে ছিল না জরুরি পুষ্টি। কিন্তু তাঁর খেলা দেখে খুশি হন কোচ। তিনিই সব ব্যবস্থা করে দেন।
প্রতিভা ছাড়া আর কী? যে পারিবারিক পরিসর থেকে রানির উত্থান বহু বহু প্রতিভা সেইখানেই হেরে যায়। আসলে প্রতিভার চেয়েও আরও বেশি কিছু ছিল রানির। না হলে এ ভাবে সাফল্য আসে না।
২০০৯ সালে Champion's Challenge Tournament-য়ে Rani Rampal ৪ গোল দেন। তিনি সেবার ওই প্রতিযোগিতার 'টপ গোল স্কোরার' বিবেচিত হয়েছিলেন। নির্বাচিত হয়েছিলেন Young Player of the Tournament-ও।
২০১০ সালে রানি ইতিহাস গড়লেন। ১৫ বছর বয়সে ভারতের হয়ে খেলে ফেললেন World Cup। এই আসরের সর্বকনিষ্ঠা খেলোয়াড় হয়েও ৭টি গোল করেছিলেন তিনি। ভারত এখন মেয়েদের হকিতে বিশ্বে নবম স্থানে। ১৯৭৮ সালের পর হকিতে এত ভাল পর্যায়ে আর কখনও উঠে আসেনি দেশ।
২০১০ সালেই ভারত Commonwealth Games এবং Asian Games খেলে। রানিও দারুণ খেললেন। ভারত চতুর্থ স্থানে পৌঁছল। অসাধারণ পারফর্মেন্সের জন্য রানি 'Young Woman Player of the Year award'ও পেলেন সেই বছর।
২০১০ সালেই তিনি Asian Hockey Federation's All-Star দলে জায়গা পেলেন। ২০১৩ সালে Junior World Cup-য়ে রানি ভারতকে নেতৃত্ব দিলেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশ পেল ব্রোঞ্জ।
২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে রানি ভারতীয় মহিলা হকি দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন। এই টুর্নামেন্টে ভারত রুপো অর্জন করে।
রানি রামপালের নেতৃত্বে ভারতীয় মহিলা হকি দল টোকিয়োয় অনুষ্ঠিত ২০২০ সালের অলিম্পিক্সে কোয়ালিফাই করে। আগামি কাল, বুধবার তিনি টোকিয়োয় দেশের হয়ে সেমিফাইনাল খেলতে নামছেন। দাঁড়িয়ে আছেন ইতিহাসের দরজাগোড়ায়।