দরজা খুলে দেখলেন সামনে হাত জোর করে দাঁড়িয়ে Ratan Tata, প্রাক্তন কর্মচারী থ
দুবছর ধরে তিনি অসুস্থ। বাড়িতেই থাকেন গোটা দিন। LinkedIn-এ একটি পোস্টে তাঁর কথা জানতে পারেন Ratan Tata. আর তার পরই ৮৩ বছর বয়সী শিল্পপতি যা করলেন, উদাহরণ হয়ে থাকবে।
কাউকে কিছু জানাননি। তিনি অবশ্য কখনই ঢাক পেটানোয় বিশ্বাসী নন। নিজের কাজ, দায়িত্ব সামলান নিঃশব্দে। এবারও তাই করলেন। টাটার সংস্থায় এক সময় কাজ করতেন সেই কর্মচারী। তাঁর অসুস্থতার খবর পেয়ে ছুটে গেলেন রতন টাটা।
পুণেতে থাকেন সেই প্রাক্তন কর্মচারী। রতন টাটা মুম্বই থেকে পুণে পৌঁছে গেলেন সাতসকালে। তার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে হাজির হলেন সেই প্রাক্তন কর্মচারীর বাড়ির গেটের সামনে।
সেই ভদ্রলোক তো বাড়ির বাইরে হাত জোর করে দাঁড়িয়ে থাকা রতন টাটাকে দেখে থ। তিনি তখন কী করবেন, কী বলবনে বুঝতেই পারছেন না। আসলে তিনি ভাবতেই পারেননি, তাঁকে দেখতে খোদ রতন টাটা চলে আসবেন।
রতন টাটা তাঁর সংস্থার প্রাক্তন কর্মচারীর শরীরের হাল-হকিকত জানতে চাইলেন। তার পর সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দিলেন। বেশিক্ষণ অবশ্য সেখানে থাকেননি রতন টাটা। কাজ মিটিয়ে, কুশল বিনিময় করে ফিরে আসেন মুম্বইয়ে।
কর্মচারীদের প্রতি সব সময়ই নরম মনোভাব রাখেন রতন টাটা। আর তাঁর মানবিকতা বোধ নিয়ে তো নতুন করে বলার প্রয়োজনই পড়ে না।
এর আগে 26/11 হামলায় স্বজন হারানো ৮৮০টি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রতন টাটা। সেই পরিবারের বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ বহন করবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এমনকী বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের চিকিত্সার খরচও বহন করেছিলেন।