Real Life Tarzan: ৪০ বছর কাটিয়েছেন জঙ্গলে, ক্যানসারে মারা গেলেন বাস্তবের টারজেন

Tue, 14 Sep 2021-7:06 pm,

নিজস্ব প্রতিবেদন: ৪০ বছর ধরে জঙ্গলই ছিল তাঁর বাসভূমি। তবে, আট বছর আগে জঙ্গলজীবন ছেড়ে শহুরে জীবনে অভ্যস্থ হতে শুরু করেন। কিন্তু সেই জীবনে হয়ত মানিয়ে নিতে পারেননি। সম্প্রতি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন Ho Van Lang। যাকে বাস্তবের টারজেন (real-life Tarzan) বলেই অনেকে চেনেন।

ভিয়েতনাম যদ্ধের সময় মার্কিন সেনার বোমার আঘাতে মারা যান Ho Van Lang-এর পরিবারের অনেকে। এরপর থেকে বাবাকে নিয়ে ভিয়েতনামের Tra Bong জেলার জঙ্গলে বসবাস করতে শুরু করেন তিনি। ২০১৩-তে ভয়েতনামের জঙ্গলে Ho Van Lang-এর খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁকে উদ্ধার করে শহুরে জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়। তবে সেই জীবন তাঁর সহ্য হয়নি। ক্রমশ শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন Ho Van Lang।

Ho Van Lang-কে খুব কাছ থেকে দেখেছেন Alvaro Cerezo। তিনি বলেন, "ওঁর মৃত্য়ু দুঃখের হলেও, উনি মুক্তি পেয়েছেন। গত কয়েক মাস ধরে খুব কষ্ট পাচ্ছিল। এই শহুরে জীবনে উনি হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। "

Tra Bong জেলার গভীর জঙ্গলে বাঁশ দিয়ে তৈরি একটি বাড়িতে থাকতেন Ho Van Lang। গাছের ছাল থেকে তৈরি পোশাকই পরতেন। গাছের ফলই ছিল তাঁর খাদ্য। ২০১৩-তে গভীর জঙ্গলে প্রথম পর্যটকদের নজরে Ho Van Lang। তাঁরাই স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানান। এরপর Ho Van Lang-কে ধরতে ফাঁদ পাতে প্রশাসন। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় নাগালে আসেন তিনি।

উদ্ধারের পর Ho Van Lang-এর চিকিৎসা শুরু হয়। সেটাই ছিল আধুনিক জীবনের সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয়। Alvaro Cerezo বলেন, "উনি অসাধারণ মানুষ ছিলেন। ওনাকে ভোলা অসম্ভব। প্রত্যেকদিন ওনাকে মনে পড়বে। জঙ্গল থেকে শহুর, জীবন যাত্রার এই বিশাল পরিবর্তনের ধকল ওনার শরীর নিতে পারবে কিনা, তা রোজ আমাকে ভাবাত।"

Docastaway নামক একটি সংস্থায় কাজ করেন Alvaro Cerezo। শহুরে জীবন থেকে একটু ছুটি নিয়ে যদি কেউ একাকী, কোনও নির্জন স্থানে সময় কাটাতে চান, তাঁদের সেই ব্যবস্থা করে দেয় এই সংস্থা। Ho Van Lang-এর কিছু মুহূ্ত ক্যামেরা বন্দি করেছেন Alvaro Cerezo। সেটাই নাকি তাঁর জীবনের এক অমূল্য সম্পদ। ওই মুহূর্তগুলোকে আঁকড়েই ধরেই প্রিয় বন্ধুর স্মৃতিতে বাঁচতে চান তিনি।  

 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link