জারি হল লাল সতর্কতা, শক্তি বাড়িয়ে ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে `নিসর্গ`

Mon, 01 Jun 2020-1:01 pm,

নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফানের দগদগে ক্ষত এখনও যন্ত্রণা দিচ্ছে, তার মধ্যেই আবার মাথাচাড়া দিয়ে বসে আসছে আর এক ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ। আমফানে বিধ্বস্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা। ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে সুন্দরবন। ফের কি আবার প্রকৃতির রক্তচক্ষু!

কী এই নিসর্গ?

আরব সাগরে নতুন করে দানা বাঁধছে একটি ঘূর্ণিঝড়। বাংলাদেশের প্রস্তাবিত নাম অনুয়ায়ী সেটিই নিসর্গ। মুম্বই থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও সুরাট থেকে  ৯২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে নিসর্গ। ধীরে ধীরে শক্তি বৃদ্ধি করে সাইক্লোনের রূপ নেবে এই নিম্নচাপ।

কবে আছড়ে পড়বে নিসর্গ?

আবহওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে বুধবার স্থলভাগে আছড়ে পড়বে নিসর্গ। যার প্রভাব থাকবে বৃহস্পতিবারেও। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

কোন পথে বয়ে যাবে নিসর্গ?

শুরুতে আরব সাগরের বুক চিরে উত্তর দিকে বয়ে যাবে নিসর্গ। তারপর উত্তর পূর্বে বাক নিতে নিতে উত্তর মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাটের সমুদ্র উপকূলের মাঝখানে হরিহরেশ্বরে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। ক্ষতিগ্রস্ত হবে গোয়া ও কেরল, দমন ও লাক্ষাদ্বীপও।

কতটা শক্তিশালী নিসর্গ?

বুধবার সন্ধ্যায় যখন সমুদ্র উপকূল গ্রাস করবে নিসর্গ, তখন হাওয়ার গতিবেগ থাকবে সর্বোচ্চ ১১৫ থেকে ১২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। যার দরুন প্রবল বৃষ্টিপাত হবে গোয়া, মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও কেরলে।

আমফান না নিসর্গ! কে বেশি শক্তিশালী?

পশ্চিমবঙ্গের স্বাভাবিক অবস্থা এক লহমায় তছনছ করে দিয়ে গিয়েছিল আমফান। বঙ্গোপোসাগর থেকে জন্ম নিয়ে কার্যত গোটা দক্ষিণবঙ্গকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ছিল ১৬০ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। সর্বোচ্চ ২৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়ও বয়ে গিয়েছে আমফান। সেখানে নিসর্গের সর্বোচ্চ গতিবেগ সম্ভাব্য ১২৫ কিলোমিটার। আমফানের মতো না হলেও যথেষ্ট শক্তিশালী রূপেই ভারতের জন্য অপেক্ষা করে আছে ফের এক ঘূর্ণিঝড়।

বাংলায় প্রভাব কতটা?

আরব সাগরে তৈরি হওয়ার দরুন বাংলায় নিসর্গের প্রভাব পড়বেনা বলাই চলে। কিন্তু আবহওয়া দফতরের পক্ষ থেকে হালকা ও মাঝারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা থাকছে বাংলার ক্ষেত্রেও।

ইতিমধ্যে কেরল, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট উপকূলের মৎস্যজীবিদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশেষত মহারাষ্ট্র ও গুজরাট উপকূলে জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট। মৌসম ভবনে ঘূর্ণিঝড়ের দায়িত্বে থাকা সুনিতা দেবী জানিয়েছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠে উচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে। যা ঘূর্ণিঝড়ের পক্ষে অনুকূল। অর্থাৎ মহাপ্রলয়ের আগমনে  উত্তাল হতে চলেছে আরব সাগর। নিসর্গের রক্তচক্ষুর লক্ষ এখন গুজরাট ও মহারাষ্ট্র।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link