বিবাহিত `দিদি`র সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও প্রেম খুঁজত `ভাই`, সোশ্যালে মনবেদনা
দিদি-ভাইয়ের সম্পর্কই গড়িয়েছিল ঘনিষ্ঠতায়। আর সেই সম্পর্কের ইতি হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুমনের আত্মহত্যায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার বিশালক্ষী তলায় সুমনের দিদি চম্পা পণ্ডিতের শ্বশুরবাড়ি। দিদির শ্বশুবাড়িতে গিয়েই শারিকা জানা নামে ওই বিবাহিত যুবতীর সঙ্গে আলাপ হয় সুমনের। দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে সম্পর্ক। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সম্পর্ক গভীর হতেই সুমনের কাছ থেকে দফায় দফায় টাকা চেয়ে চাপ দিতে শুরু করেন শারিকা। একইসঙ্গে বিয়ের জন্যও সুমনকে চাপ দিতে থাকেন ওই যুবতী।
পাতানো দিদির সঙ্গে সম্পর্কেও খুশি ছিল না ১৯ বছরের যুবক। তা তাঁর ফেসবুক ঘাঁটলেই স্পষ্ট হচ্ছে।
বিবাহিত যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক! সোশ্যাল মিডিয়ায় সেইসব ঘনিষ্ঠ ছবি পোস্ট করে ব্ল্যাকমেইল করছিল প্রেমিকা।
শারিকার চাপে বিয়েতে রাজি হয় সুমনের পরিবার। এরমধ্যেই সুমনের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা চেয়ে বসেন শরিকা। সুমন সুমন টাকা না দিতে অস্বীকার করায় শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুমনের সঙ্গে সমস্ত ঘনিষ্ঠ ছবি পোস্ট করে দেন শারিকা।
শারিকার চাপে বিয়েতে রাজি হয় সুমনের পরিবার। এরমধ্যেই সুমনের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা চেয়ে বসেন শরিকা। সুমন সুমন টাকা না দিতে অস্বীকার করায় শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুমনের সঙ্গে সমস্ত ঘনিষ্ঠ ছবি পোস্ট করে দেন শারিকা।
পরিজনদের কাছে সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন সুমন মণ্ডল।
বাড়ির অদূরে বাগানের মধ্যে উদ্ধার হয় ১৯ বছরের যুবকের ঝুলন্ত দেহ।প্রেমিকা শারিকার বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।
বিবাহিত তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়ালেও প্রেম ছিল না সুমনের জীবনে। ফেসবুকের পোস্টে ধরা পড়েছে সেই হতাশা।
বিবাহিত তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়ালেও প্রেম ছিল না সুমনের জীবনে। ফেসবুকের পোস্টে ধরা পড়েছে সেই হতাশা।
মনোবিদদের মতে, কম বয়সে বিবাহিত তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে একটা উত্তেজনা থাকলেও তা প্রেম নয়। আর সেটা ভাল করেই জানতেন সুমন।
এই ঘটনা সমাজের আরও একটা দিকও তুলে ধরছে। ফেসবুকে প্রচুর বন্ধু থাকলেও আদতে কি আমরা সবাই একা? সবাই খুঁজে চলেছি বন্ধু।