স্বাধীনতার পর প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে নেতাজির আইএনএ
ব্রিটিশ শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ)। অথচ স্বাধীন ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ডাক পাননি আইএনএ-র সদস্যরা। সেই অবজ্ঞার অবসান হতে চলেছে এবারের ২৬ জানুয়ারি।
২৬ জা্নুয়ারি ভারতের তিন সেনার শক্তিশালী বাহিনীর সঙ্গে কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির জওয়ানরা। বয়স একশো ছুঁই ছুঁই হলেও নেতাজির সৈন্যরা প্রস্তুত।
রাজপথে আইএনএ-র সদস্যরা যাতে কুচকাওয়াজে অংশ নিতে পারেন, সেই প্রস্তাব গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন নমো।
অংশ নিতে চলেছেন আইএনএ-র চার জীবিত। তাঁরা হলেন, পঞ্চকুলার ৯৮ বছরের ললিত রাম, ৯৭ বছর বয়সের নারনলের বাসিন্দা হিরা সিং, মানেসরের ১০০ বছর বয়সী বাঘমল ও চণ্ডীগড়ের ৯৫ বছর বয়সী পরমানন্দ যাদব।
জি মিডিয়াকে দিল্লি হেডকোয়ার্টারের মেজর জেনারেল রাজপাল পুনিয়া জানিয়েছেন, এটা দেশের জন্য গর্বের ব্যাপার। আইএনএ-র সদস্যরা অংশ নিতে চলেছেন কুচকাওয়াজে।
গতবছর আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের দিনটি স্মরণীয় করতে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গত ৩০ ডিসেম্বর আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের তিনটি দ্বীপের মধ্যে একটির নামকরণ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ''স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা উঠলে গর্বের সঙ্গে নেতাজির নাম নিয়ে থাকি আমরা। আন্দামানের মাটিতেই ভারতের স্বাধীনতার শপথ নিয়েছিল আজাদ হিন্দ সরকার''।