ঋতুস্রাবের দিন ব্যবসাই হয় না!
মাসে ৩ দিন। বছরে ৩৬ দিন। অর্থাত্ এক বছরে প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ব্যবসাই করতে পারে না ওঁরা। কারণ, ঋতুস্রাবের সময় কোনও খরিদ্দারই আসে না যৌনকর্মীদের কাছে।
কলকাতা (সোনাগাছি), মুম্বই (কামাথিপুরা), পুণে (বুধওয়ার পেথ), এলাহবাদ (মীরগঞ্জ), বিহার (চতুর্ভূজস্থান, মুজাফ্ফরপুর), উত্তরপ্রদেশ (শিবদাসপুর)-সব জায়গাতেই ছবিটা একই।
দেশের তো বটেই এশিয়ার বৃহত্তম যৌনপল্লী অর্থাত্ কলকাতার সোনাগাছির অর্থনীতিতেও ছাপ ফেলে ঋতুস্রাব।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম যৌনপল্লী মুম্বইয়ের কামাথিপুরাতেও ছবিটা একই। মাসের যে কয়টি দিন 'শরীর খারাপ' থাকে, সে দিনগুলোয় ব্যবসাও এক প্রকার বন্ধ থাকে।
কামাথিপুরার এক যৌনকর্মী 'এই দিনগুলি'র অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করতে গিয়ে বলছেন, “এই দিনগুলো (ঋতুস্রাব) ছুটি নিই। কোনও কাজই করতে পারি না। আর সে কারণে ব্যবসাও হয় না”।
কামাথিপুরার আরও এক যৌনকর্মীর কথায়, “ঋতুস্রাবের দিনগুলো-তে ছুটি থাকলে একদিকে ভাল-ই হয়। নিজের জন্য কিছু করার সময় পাই”।
এই একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় নীল ছবির দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত পেশাদারদেরও। ঋতুস্রাবের দিনে কাজ পড়ে গেলে সাধারণত শুটিং বাতিল করেন তাঁরা।
অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে এক পর্ন তারকা জানান, “ঋতুস্রাবের সময় যৌনতা দেখতে কেউ-ই পছন্দ করবে না। সে কারণেই ওই দিনগুলো-তে শুটিং বন্ধ রাখার চেষ্টাই করা হয়”।
একইভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন স্ট্রিপাররাও।