RG Kar Incident | Sanjoy Roy: লালারসেই লালসার দাগ! `নরম` কোনও বস্তুতে মারণ কামড়, সঞ্জয়ের দাঁতচিহ্নেই রহস্যফাঁস?
প্রমোদ শর্মা, জি নিউজ, দিল্লি: মৃত নির্যাতিতার শরীরে যে বেশকিছু ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে তা আগেই জানা গিয়েছিল।পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা ছিল দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল, ছিল ক্ষতও। এর আগে সিএফএসএল বিশেষজ্ঞদের মত ছিল, কামড়ের দাগ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের।
সেই ক্ষতর প্রমাণ মেলাতে এবার আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের 'টিথ ইম্প্রেসন' নিল সিবিআই। সূত্রের খবর, নির্যাতিতার ক্ষতচিহ্নের সঙ্গে ওই কামড়ের নমুনা এবং লালারস মিলিয়ে দেখা হবে।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে সঞ্জয় রায়ের কামড়ের নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিভিন্ন ভাবে কামড়ের দাগ সংগ্রহ করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কোন কামড়ে কেমন চিহ্ন হয়, সেই সংক্রান্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ময়নাতদন্তে রিপোর্টে উল্লেখ, নিহত চিকিত্সকের শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। মাথা, গাল, ঠোঁট, নাক, চোয়াল, চিবুক, গলায় ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। শরীরের বেশ কিছু জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। যৌনাঙ্গেও যে জোরপূ্র্বক কিছু প্রবেশ করানো হয়েছিল, সেকথাও উল্লেখ করা হয়েছিল ময়নাতদন্ত রিপোর্টে।
এদিকে সিএফএসএল রিপোর্টও বলছে, মেয়েটির জিন্স ও অন্তর্বাস ছিল না। সেমি নেকেড ছিল। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নমূনা কারা সংগ্রহ করেছিলেন, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। সিবিআই নমূনা এইমস ও অন্য হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে এইএমসে যে ডিএনএ নমুনা পাঠানো হয়েছিল তাতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র ছাড়া দ্বিতীয় ব্যক্তির ডিএনএ-র অস্তিত্বের কথা জানা যায়নি রিপোর্টে।