ধ্বংসলীলায় মেতেছে লিস নদী, সাওগাঁও গ্রাম নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়া যেন `সময়ের অপেক্ষা`
নিজস্ব প্রতিবেদন: মালবাজার মহকুমায় লিস নদীর জলের স্রোতে ভেঙে গেল প্রায় ৬০০ মিটার নদীর বাঁধ। যার ফলে কার্যত ধ্বংসের মুখে সাওগাঁও গ্রাম। ইতি মধ্যে ৪ থেকে ৫টি বাড়ি জলের স্রোতে চলে গেছে নদীগর্ভে। গ্রামের যাতায়াতের দু তিনটি রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। এলাকার মানুষদের একমাত্র জীবিকার সম্বল কৃষি জমি গ্রাস করে নিয়েছে এই নদী।
পুরো গ্রাম এবার ভেসে যাবে এই আতঙ্ক গ্রাস করেছে মালবাজার মহকুমার বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের এই সাওগাও গ্রামের মানুষকে। বুধবার অবিরাম বৃষ্টির ফলে বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে লিস নদীর জলস্রোত ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। জলের সেই চাপ রাখতে না পেরে ভেঙে যায় বাঁধ। তারপর সেই ভাঙা বাঁধ দিয়েই গ্রামের মধ্যে হুহু করে জল ঢুকতে শুরু করে।
গত দুবছর ধরে এই বাঁধের হাল খুব খারাপ ছিল। গত বছর বালি দিয়ে মেরামত করা হয়। কিন্তু এবছর অবিরাম বৃষ্টিতে জলের স্রোতে ভেসে যায় বালির বাঁধ। গ্রামবাসীদের গোপাল প্রধান, আশিক ওড়াও পুনম চৌধুরীদের বক্তব্য, বারবার আমরা সেচদপ্তর এবং প্রশাসনকে জানিয়েছে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। কয়েকশো একর কৃষি জমি জলের তলায়। বাড়িঘর ভেঙে ভেসে গিয়েছে। গ্রামের যাতায়াতের রাস্তাও ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
প্রতিদিন অল্প অল্প করে অন্যান্য ঘরবাড়ির দিকে ধেয়ে আসছে এই নদী। বৃষ্টি হলেই বাড়ছে দুশ্চিন্তা। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বিশাল ক্ষতি হয়েছে গ্রামের। গ্রামবাসীদের একটাই দাবি অবিলম্বে বাঁধটি শক্তপোক্ত করে তৈরি হোক। সেচ দফতরের উপর যথেষ্ট ক্ষোভ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের। পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জিতা ওড়াও অভিযোগ করেন , বহুবার সেচ দপ্তরকে বলেও কোন কাজ হয়নি। প্রতিদিন লিস নদীর জল যেভাবে বাড়ছে তাতে আরও রাস্তাঘাট, কৃষিজমি এবং ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে যাবে।
গ্রামের সব মানুষেরা আতঙ্কে আছে। এই বুঝি তাদেরও ভিটেমাটি এই নদী ভাসিয়ে নিয়ে গেল। দুবছর ধরে বাঁধের হাল খারাপ। অভিযোগ, একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও নজর দেয়নি সেচদফতর বা প্রশাসন। গতকাল মালবাজার পুলিশ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে এলে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবসীরা। তাঁদের দাবি, সেচ দফতরের আধিকারীকদের এসে বাঁধ পাকাপাকি মেরামত করে দিতে হবে।