Schools Reopening: অতিমারি আবহে খুলছে স্কুল-কলেজ, কীভাবে প্রস্তুত হবেন পড়ুয়া-অভিভাবকরা?
নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘদিনের বিরতির পর অবশেষে রাজ্যে খুলছে (Schools Reopening) স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোভিড বিধি (Covid19) মেনে ১৬ নভেম্বর থেকেই ব্যাগ কাঁধে ছুটতে দেখা যাবে পড়ুয়াদের। তবে এরই মধ্যে করোনাকে (Coronavirus) ভুললে চলবে না। পড়ুয়ারা তো বটেই, সঙ্গে অভিভাবকদেরও মাথায় রাখতে হবে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্কুলের তরফেও বেশকিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। করোনার বিরুদ্ধে কীভাবে চূড়ান্ত সতর্ক থাকবেন? স্কুল শুরুর আগে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন? জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকদের মতে, পড়ুয়া-শিক্ষকদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। করোনা রুখতে সর্বপ্রথম উপায় হল মাস্ক পরা। তবে তা অবশ্যই যেন নাক বা থুতনির নিচে না নামে তা খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণত এন-৯৫ বা সার্জিক্য়াল মাস্ক পরলে উপকার। তবে পড়ুয়ার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
ক্লাসরুমের ভিতরে কমপক্ষে ৩ ফুটের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয়, খোলা জায়গায় মিড-ডে-মিল খাওয়ানো বা প্রার্থনা, ব্যান্ড ও শরীরচর্চার ক্লাস করানোই ভালো। পড়ুয়া স্টাফসহ সকলকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার করতে হবে।
ক্লাসের ভিতরে একই সময়ে যতটা সম্ভব কম পড়ুয়াকে আনতে হবে। দু-তিনটে ক্লাসরুম নিয়ে যদি এক শ্রেণীর পঠনপাঠন চালানো যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। টিফিন খাওয়ার সময় মাস্ক খুললে কমপক্ষে ৬ ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ক্লাসরুমের দরজা-জানালা খুলে রাখতে হবে। যতটা সম্ভব খোলামেলা ও ফাঁকা স্থানে পঠনপাঠন চালাতে হবে।
স্কুল বাসে প্রত্যেককে আলাদা সিটে বসতে হবে। তবে চিকিৎসকদের মতে, জমায়েত এড়াতে সাইকেল-বাইক বা হেঁটে স্কুল যাওয়াই ভালো। স্কুলের লকার ব্যবহার না করাই ভালো। স্কুলে ঢোকার আগে পড়ুয়া, শিক্ষক ও স্টাফদের স্ক্রিন টেস্ট বাধ্যতামূলক। প্রতি সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একবার স্ক্রিন টেস্ট ও র্যাপিড রেজাল্টের ব্যবস্থা রাখতে হবে। উপসর্গ দেখা দিলে ডায়গনাস্টিক টেস্ট করা বাধ্যতামূলক।
পড়ুয়াদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে দেখবেন অভিভাবকরা । ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে পড়ুয়াকে ঘরেই রাখা ভালো। স্কুলের মধ্যে অসুস্থ বোধ করলে পড়ুয়ার দেহের তাপমাত্রা দেখে নিতে হবে স্টাফদেরকেই। স্কুলের মধ্যেই আইসোলেশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সর্বোপরি, মনোবিদদের মতে গতানুগতিক পড়াশোনার বাইরে আউটডোর অ্যাক্টিভিটিতে জোর দিতে হবে। খোলা মাঠে পড়ুয়াদের খেলাধুলা, শরীরচর্চা করাতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত মাইন্ড গেম, গল্প পড়ার মতো জীবনশৈলীর ক্লাসও চালু রাখতে হবে স্কুলগুলিতে।