Sandakphu: চাইলেই আর যেতে পারবেন না! বদলে যাচ্ছে সান্দাকফু ভ্রমণের নিয়ম...
কায়েস আনসারি: সান্দাকফু ভ্রমণে বাঙালি যাবে না এতো প্রায় অসম্ভব। তবে জেনে রাখা ভালো এখন আর অত সহজে যাওয়া যাবে না সেখানে। জেলা প্রশাসন সান্দাকফু বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
3636m উচ্চতায় অবস্থিত সান্দাকফু বাংলার সবথেকে উঁচু পয়েন্ট। দার্জিলিংয়ে বিভিন্ন বিভাগ, জিটিএ, পুলিস, শাস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) এবং পর্যটন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে সান্দাকফু বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে আসে।
পর্যটকরা সান্দাকফুর জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়ায়। তবে তাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা সবথেকে বেশি জরুরি। কারণ বেশিরভাগ পর্যটক সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আসে এবং অবিলম্বে 3636m উচ্চতায় পৌঁছয় বলে নানা সমস্যা দেখা যায়।
তাই বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারের তরফে। চেকআপের পরে প্রতিটি পর্যটকদের সেদিন ট্রেক করার অনুমতিও দেওয়া হবে না। এমনকী দুপুর ২ টোর পর মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু যাওয়ার জন্য যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
কারণ এত উচ্চতায় অন্ধকারের এবং ঘন কুয়াশায় গাড়ি চালানোতেও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ায়। ৩২ কিলোমিটার দূরত্বে মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু পর্যন্ত গাড়ি চালাতে প্রায় ৪ ঘন্টা সময় লাগে। প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং সিংগালিলা জাতীয় উদ্যানে এর অবস্থানের কারণে যোগাযোগ আরেকটি বড় সমস্যা।
তিনমাস বন্ধ থাকার পর জুনের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বর্ষাকালের কারণে এবং ১৫ ই সেপ্টেম্বর থেকে এটি পর্যটকদের জন্য আবার খুলে দিতে চলেছে সান্দাকফু। ৮ টি হোটেল ফরেস্ট। সেখানে PWD DI ফান্ড গেস্ট হাউস এবং ৩টি GTA এর এবং ২ টি ব্যক্তিগত মোট ৮টি।