Sandip Ghosh: `অপা`, `দোতারা`র পর `সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা`! হদিশ মিলল কুকর্মে `রঙিন` সন্দীপের বাংলো বাড়ির...
প্রসেনজিত্ সরদার: শান্তিনিকেতনে পার্থ-অর্পিতার 'অপা', জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের 'দোতারা'র পর এবার 'সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা'র সন্ধান পাওয়া গেল ক্যানিংয়ে। যা নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে গুঞ্জন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক ফান্ডের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গ্রেফতার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ক্যানিংয়ের এই বাংলো বাড়িটি তাঁর নামেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের ঘুটিয়ারি শরীফের নারায়ণপুর মৌজাতে কেনা হয়েছে কয়েকশ বিঘা জমি। শুধু জমি কেনা হয়েছে তাই নয়, সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে বড় বাংলো বাড়ি। স্থানীয় বেশ কিছু যুবক সেখানে ফার্ম হাউস তৈরি করেছেন। কিন্তু পুরোটাই চলতো সন্দীপ ঘোষের নির্দেশ মতোই।
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থের অপচয়, ভেন্ডার নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ছাড়াও বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট বেনিয়মে বিক্রি করে দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সিবিআই । তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে সন্দীপ ঘোষ সহ বেশ কয়েকজনকে।
সেই সন্দীপ ঘোষের একটি বাংলো বাড়ির হদিশ মিলেছে ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। বাড়িটির নাম সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা। বাড়ির কেয়ারটেকার জাকির লস্কর জানান, তিনি মাঝেমধ্যেই ফ্যামিলি নিয়ে এই নারায়ণপুরের বাংলো বাড়িতে আসতেন। প্রায় ২ বছর আগে তিনি এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। সারাদিন থাকতেন। খাওয়াদাওয়া করতেন। দিনেরবেলা সময় কাটাতেন। তারপর বেরিয়ে যেতেন।
তবে সেই বাড়িটি এখন দীর্ঘদিন ধরেই তালাবন্ধ হয়ে পড়ে আছে। যোগাযোগ বন্ধ সেই বাড়ির কেয়ারটেকারের সঙ্গেও। আরজি করের ঘটনা ঘটার পর থেকে নারায়ণপুরের সেই বাড়িতে আর যাননি সন্দীপ ঘোষ। ওদিকে এই বাংলো বাড়িকে কেন্দ্র করে কয়েকশ বিঘা জমি ঘিরে রাখা হয়েছে। তবে সব জমি এই সন্দীপ ঘোষের কিনা তা খোলসা করে বলতে পারেননি এলাকার মানুষজন।
যদিও স্থানীয় মানুষজনদের দাবি, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করেই এই জায়গাটি কিনেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। এলাকাটি সোনারপুরের কাছাকাছি হওয়ায় বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা ছিল বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ জন। তবে স্থানীয় কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা এই বাংলো বাড়ির রহস্য নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।