SAvsIND: ছয় দেশ, পাঁচ মহাদেশ, KL Rahul-এর শতরানের নজির
২০১৫ সালে সিডনিতে আয়োজিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে প্রথম শতরান করেছিলেন। ২৬২ বলে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১১০ রান। মেরেছিলেন ১৩টি চার ও ১টি ছয়। সেই টেস্ট ড্র হয়ে যায়। তবে চার ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল বিরাট কোহলির ভারত।
২০১৫ সালেই সেরে ফেলেছিলেন টেস্ট কেরিয়ারের দ্বিতীয় শতরান। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ছিল কলম্বোর পিএসএস স্টেডিয়ামে। ১৯০ বলে অনবদ্য মেজাজে ১০৮ রান করেন তিনি। মেরেছিলেন ১৩টি চার ও ১টি ছয়। ২৭৮ রানে সেই টেস্ট জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া।
২০১৬ সালে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার মুখোমুখি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানদের ১৯৬ রানে শেষ করে দেওয়ার পর, ভারতীয় দল প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৫০০ রান (ডিক্লেয়ার) তুলে দেয়। ৩০৩ বলে ১৫৮ রান করেন রাহুল। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১৫টি চার ও ৩টি ছয়। সেই টেস্ট ড্র হয়ে যায়।
২০১৬ টেস্ট কেরিয়ারের চতুর্থ শতরান কেএল রাহুলের কাছে যেন দুঃস্বপ্নের মতো। ঘরের মাঠে প্রথম শতরান করলেও মাত্র ১ রানের জন্য প্রথম দ্বিশতরান হাতছাড়া করেছিলেন রাহুল। সিরিজের পঞ্চম টেস্টে রাহুলের ইনিংস থেমেছিলেন ১৯৯ রানে। খেলেছিলেন ৩১১টি বল। মেরেছিলেন ১৬টি চার ও ৩টি ছয়। সেই ইনিংসে আউট হওয়া কিছুতেই মানতে পারছিলেন না। মাথা নিচু করে মুখ ঢেকে পিচে উপর বসেছিলেন রাহুল। যদিও শতরান করলেও, ৩০৩ রানে অপরাজিত থাকার জন্য ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন করুন নায়ার। চেন্নাইতে এক ইনিংস ৭৫ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল ভারত।
২০১৮ সালের সেই সফরে ভারত ৪-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারলেও, ওভাল টেস্ট ড্র হয়েছিল। প্রথম ইনিংসে ৩৭ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৪ বলে ১৪৯ রান করেছিলেন রাহুল। তাঁর সেই ইনিংস ২০টি চার ও ১ টি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল।
টেস্ট কেরিয়ারের ষষ্ঠ শতরান পেতে রাহুল প্রায় তিন বছর সময় লেগে গিয়েছিল। খারাপ ফর্মের জন্য একাধিক সিরিজ থেকে বাদ গিয়েছিলেন এই ব্যাটার। তবে গত ইংল্যান্ড সফরে ওপেনার হিসেবে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন রাহুল। ফলে ২০২১ সালের লর্ডস টেস্টে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১২৯ রান। এই শতরান করতে খেলেছিলেন ২৫০ বল। ১২টি চার ও ১টি ছয় মেরেছিলেন রাহুল। ভারত সেই ১৫১ রানে জেতার পাশাপাশি ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন রাহুল।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চলতি বক্সিং ডে টেস্টে ভারতীয় দলের মুখ রক্ষা করলেন এই ওপেনার। পুরনো বন্ধু ময়ঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে জুটি বেধে প্রথম দিনেই প্রোটিয়াসদের পেস বোলিংকে বুঝে নিয়েছিলেন রাহুল। বৃষ্টির জন্য দ্বিতীয় দিন এক বল খেলা না হলেও প্রথম দিন সেরে নিয়েছিলেন শতরান। ২৬০ বলে ১২৩ রানে থামলেন তিনি। এই ইনিংস গড়তে মেরেছিলেন ১৪টি চার ও ১টি ছয়। যদিও তৃতীয় দিন লুঙ্গি এনগিডির দাপটে ৩২৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ভারতের প্রথম ইনিংস।