SAvsIND: বিতর্ক-চাপ ভুলে নতুন বছরে Kohli-র `বিরাট` মোটিভেশন
যুবরাজ সিংয়ের সেই বিখ্যাত উক্তি, 'জবতক বল্লা চল রাহা হ্যায়, তবতক ঠাট হ্যায়' কোহলির ক্ষেত্রেও এখন প্রযোজ্য। যদিও বিতর্ক ও যাবতীয় চাপকে পিছনে ফেলে আগের মতোই মোটিভেশন বজায় রাখার চেষ্টা করছেন।
অধিনায়কত্ব ধরে রাখতে হলে শুধু টেস্ট জিতলেই চলবে না। রান করাও জরুরি। এটা বুঝে গিয়েছেন বুদ্ধিমান কোহলি। তাই তীরে এসে তরী ডোবার আগে রাহুল স্যরের ক্লাসে মগ্ন অধিনায়ক।
২০১৯ সালের পর থেকে টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেটে শতরান নেই। গত বছর বিদেশের মাঠে খেলা দশ ইনিংসে দশ বারই অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে খোঁচা দিয়েছেন। সেই ভুল আর পয়া ওয়ান্ডারার্সে করতে রাজি নন 'কিং কোহলি'।
তবে শুধু ভারতীয় দল নয়। কোহলির কাছেও এই মাঠের বাইশ গজ পয়া। কোহলি এখানে এখনও পর্যন্ত দুটি টেস্ট খেলছেন। এর মধ্যে চার ইনিংসে একটি শতরান এবং দুটি অর্ধশতরানসহ করেছেন ৩১০ রান। সর্বোচ্চ ১১৯। গড় ৭৭.৫০। এখন সেই পয়া মাঠে কোহলির ছন্দে ফেরার অপেক্ষায় ক্রিকেট দুনিয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম বরাবরই ভারতীয় দলের কাছে পয়া। ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এই মাঠে পাঁচটি টেস্ট খেলেছে 'মেন ইন ব্লু' ব্রিগেড। এর মধ্যে ২০০৬ সালে রাহুল দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বে এসেছিল প্রথম জয়। সেই টেস্ট ১২৩ রানে জয়ের পর গত বার ৬৩ রানে জিতেছিল কোহলিবাহিনী। ১৯৯৭ সালে এই মাঠে ১৪৮ ও ৮১ রান করেছিলেন দ্রাবিড়। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াও এই মাঠে। শুধু ২০০৩ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালে হারতে হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলকে। সেই মাঠেই এ বার দ্বিতীয় টেস্ট জিতে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় টিম ইন্ডিয়া।