SAvsIND: Cheteshwar Pujara-র কাছে কি এটাই শেষ সুযোগ? দেখে নিন Team India-r সম্ভাব্য প্রথম একাদশ
সেঞ্চুরিয়ান টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১২৩ রান করে সবার নজর কেড়েছেন এই ওপেনার। পেয়ছেন ম্যাচের সেরার পুরষ্কার। একই সঙ্গে চলতি সফরে টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক তিনি। একদিনের দলের অধিনায়কত্বও এখন তাঁর হাতে। গত ইংল্যান্ড সফরে রোহিত শর্মার সঙ্গে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন কর্নাটকের এই ডানহাতি ব্যাটার। এ বার রোহিতের অবর্তমানে প্রোটিয়াসদের বিরুদ্ধে তিনি বড় দায়িত্ব নিচ্ছেন।
গত টেস্টের প্রথম ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ৬০ রান। পুরনো বন্ধু কেএল রাহুলের সঙ্গে জুটি বেধে প্রথম ইনিংসে যোগ করেছিলেন ১১৭ রান। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। তবে সিরিজের বাকি দুই টেস্টে বড় রান করে নিজের জায়গা মজবুত করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে ময়ঙ্কের কাছে।
গত দুই বছর ব্যাটে বড় রান নেই। 'চে পূজারা' পদবী যেন এখন ইতিহাস হয়ে গিয়েছে। অনেকের মতে ওয়ান্ডারার্সে ব্যর্থ হলেই তাঁকে ছেঁটে ফেলা হবে। তবে একই সঙ্গে এই মাঠে রয়েছে তাঁর সুখের স্মৃতি। ২০১৩ সালে প্রোটিয়াসদের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ২৫ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১৫৩ রান। ২০১৮ সালেও ওয়ান্ডারার্সের বাইশ গজ তাঁর কাছে পয়া হয়ে ধরা দিয়েছিল। সে বার তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫০ রান করেছিলেন। ভারত ৬৩ রানে জিতেছিল সেই টেস্ট। পূজারার এখানে দুই টেস্টের চার ইনিংসে করেছেন ২২৯ রান। সর্বোচ্চ ১৫৩ রান। সঙ্গে রয়েছে একটি শতরান ও একটি অর্ধ শতরান। গড় ৫৭.২৫।
একে তো ২০১৯ সাল থেকে টেস্টে তিন অঙ্কের রান নেই। এর মধ্যে গত টেস্টের দুই ইনিংসে অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে অহেতুক খোঁচা মেরে আউট হয়েছেন। শুধু তাই নয়, গত বছর বিদেশের মাটিতে শেষ ১০ ইনিংসে খোঁচা দিয়ে ফিরেছেন কোহলি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বিসিসিআই-এর বিরুদ্ধে জেহাদ। ফলে সব মিলিয়ে বেশ চাপে রয়েছেন 'কিং কোহলি'। তবে এর মধ্যে ইতিবাচক দিক হল কোহলি এখানে এখনও পর্যন্ত দুটি টেস্ট খেলছেন। এর মধ্যে চার ইনিংসে একটি শতরান এবং দুটি অর্ধ শতরানসহ করেছেন ৩১০ রান। সর্বোচ্চ ১১৯। গড় ৭৭.৫০। সেই অতীতের স্মৃতিকে সম্বল করে তিনি নতুন ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
কোহলি ও পূজারার মতো তাঁর ব্যাটেও রানের খরা চলছে। ২০২০ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে করেছিলেন ১১২ রান। এরপর থেকে তাঁর কেরিয়ারে শতরান অধরা। গত বছর ১৩ টেস্টের ২৩ ইনিংসে করেছেন মাত্র ৪৭৯ রান। গড় ২০.৮২। তবে সেঞ্চুরিয়ানের দুই ইনিংসে 'জিঙ্কস' যথেস্ট ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ব্যাট করেছেন। ফিরে পেয়েছেন আত্মবিশ্বাস। সেটা সম্বল করে ফের একবার পয়া জোহানেসবার্গে রান করতে চাইছেন। আর তাগিদ বাড়ানোর জন্য গত সফরে এই মাঠে করা লড়াকু ৪৮ রান তো আছেই।
গত টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে মারমুখী মেজাজে করেছিলেন ৩৪ বলে ৩৪ রান। বেশ কয়েকটা ক্যাচও ফেলেছেন। তবে এই তরুণের উপরেই ভরসা রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
ঘরের মাঠে তিনি চ্যাম্পিয়ন হলেও গত টেস্টে তেমন বোলিং করার সুযোগ পাননি। প্রথম ইনিংসে ৩৭ রান দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ঝুলিতে এসেছিল ১৮ রানে ২ উইকেট। বিদেশের মাটিতে এক স্পিনার নিয়ে খেলতে পছন্দ করেন কোহলি। এর মধ্যে আবার চোটের জন্য রবীন্দ্র জাদেজা নেই। তাই দ্বিতীয় টেস্টেও অশ্বিনের খেলার সম্ভাবনা প্রবল।
মাত্র ৫টি টেস্টে ইতিমধ্যেই ১৬টি উইকেট নিয়েছেন। ব্যাটের হাতও বেশ ভাল। ব্রিসেবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন এই মুম্বইকর। করেছিলেন ৬৭ রান। গত টেস্টেও বল হাতে দলকে ভরসা জুগিয়েছেন। তাই তাঁকে ফের সুযোগ দিতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।
গত টেস্টে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছিলেন শামি। প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার সুবাদে প্রোটিয়াসরা মাত্র ১৯৭ রানে গুটিয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন শামি। এরমধ্যে আবার ওয়ান্ডারার্স তাঁর কাছে পয়া। ২০১৮ সালে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংস বুমরার নামে লেখা থাকলে, দ্বিতীয় ইনিংসের 'হিরো' ছিলেন শামি। শামির আগুন ঝরানো বোলিংয়ের জন্য মাত্র ১৭৭ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শামি নিয়েছিলেন ২৮ রানে ৫ উইকেট। ভারত সেই টেস্ট ৬৩ রানে জিতে যায়।
দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন এই তরুণ। ফলে অভিজ্ঞ ইশান্ত শর্মার জায়গা নিয়ে ফেলেছেন। গত টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৫ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এই টেস্টেও তাঁর উপরেই ভরসা রাখছেন কোচ ও অধিনায়ক।
ভারতীয় দলের প্রধান অস্ত্র তিনি। বোলিং আক্রমণ তৈরি হতে পারে তাঁকে ঘিরে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে ভারতীয় দলের বড় ভরসা এই পেসার। সেটা প্রথম টেস্টে ফের বোঝা গিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ১৬ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও তাঁর দাপট বজায় ছিল। নিয়েছিলেন ৫০ রানে ৩ উইকেট। এর মধ্যে এ বার তিনি পয়া ওয়ান্ডারার্সে খেলতে নামবেন। গত মরশুমে প্রথমবার রামধনুর দেশে গিয়েই সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন বুমরা। ভারতের প্রথম ইনিংস ১৮৭ রানে শেষ হলেও সুবিধা করতে পারেনি প্রোটিয়াসরা। বুমরা নিয়েছিলেন ৫৪ রানে ৫ উইকেট। ফলে ১৮৭ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল ফ্যাফ ডু প্লেসিসের দল। টিম ইন্ডিয়ার বোলারদের দাপটে সেই টেস্ট জিতেছিল ভারত।