দেশের গর্ব! ইংলিশ চ্যানেল-এর পর দুর্গম ক্যাটলিনা চ্যানেল পার করলেন বাংলার সায়নী
লক্ষ্য সাত সমুদ্র পার করা। সেই লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন বাংলার সাঁতারু সায়নী দাস। ইংলিশ চ্যানেল, রটনেস্ট-এর পর আমেরিকার দুর্গম ক্যাটলিনা চ্যানেল পার করলেন বাংলার সায়নী। সায়নী এমন সাফল্য বাংলার তো বটেই, গোটা দেশের কাছে গর্বের।
দীর্ঘ ১২ ঘন্টা ৪৬ মিনিট সাঁতার কেটে সায়নী দুর্গম ক্যাটলিনা চ্যানেল পার করলেন। গোটা দেশ যখন বিশ্বকাপ নিয়ে প্রবল উত্সাহী, ঠিক তখনই প্রবল লড়াই চালিয়ে এমন সাফল্য অর্জন করলেন সায়নী।
কালনার মেয়ে সায়নীর সঙ্গে সমান তালে লড়াই চালিয়েছিলেন তাঁর বাবা রাধেশ্যাম দাস। তিনি সাঁতার প্রশিক্ষক। এক সময় অর্থের অভাবে ইংলিশ চ্যানেল অভিযানে নেমে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল সায়নীকে। কিন্তু সায়নী ও তাঁর বাবা-মা হাল ছাড়েননি। লড়াই চালাতে থাকেন। বাড়ি বন্ধক রেখে মেয়ের ইংলিশ চ্যানেল অভিযানে নামার অর্থ জুগিয়েছিলেন রাধেশ্যামবাবু। এবারও ধার-দেনায় জর্জরিত হয়েছেন। বাবার লড়াইয়ের মান রাখলেন মেয়ে।
৮ জুন দুপুর ১২ টায় আমেরিকার ক্যাটলিনা চ্যানেল পার করার অভিযানে নামেন সায়নী। ৩৩ কিমি দীর্ঘ পথ পার করতে একের পর এক বাধা সামলাতে হয় তাঁকে। কনকনে ঠান্ডা জল। সেইসঙ্গে ডলফিনের ঝাঁক। সায়নী হার মানেননি।
পয়লা জুন থেকে ক্যাটলিনা চ্যানেলে অনুশীলন শুরু করেছিলেন সায়নী। ক্যাটলিনা অভিযান শেষ করে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে সায়নী দাস জানিয়ে গেলেন, এখানেই শেষ নয়। দেশবাসীকে গর্ব বোধের আরও সুযোগ করে দেবেন তিনি।