Daspur: তরতরিয়ে খেজুর গাছে চড়লেন শাহরুখ, সঙ্গী হলেন আমির ও সলমন খানও!
নিজস্ব প্রতিবেদন : সাতসকালে চোখের নিমেষে তরতরিয়ে খেজুর গাছে উঠে গেলেন শাহরুখ খান। সঙ্গে আমির খান ও সলমন খান। কি এই পর্যন্ত পড়ে চমকে উঠলেন? ভাবছেন বুঝি, ঠিক পড়ছেন কিনা? হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। তবে এটা কোনও সিনেমার শুটিং নয়। এটা জীবনের চিত্রনাট্য।
শাহরুখ খানের নাম শুনলেই ভক্তদের ভিড় জমে ওঠে। কিন্তু এই শাহরুখ খানের কোনও ভক্ত নেই। সঙ্গে রয়েছে শাহরুখ খানের নিজের ভাই সলমন খান, আমির খান ও তাঁদের বাবা সাবরুদ্দিন খান। শাহরুখ খানের পুরো পরিবারই ব্যস্ত খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করতে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই কাজে হাত পাকিয়েছেন সাবরুদ্দিন খান। এখন তাঁকে এই কাজে সাহায্য করছেন বড় ছেলে শাহরুখ খান, মেজো ছেলে আমির খান ও সেজো ছেলে সলমন খান।
পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার আলিআমদাচক গ্রামের বাসিন্দা সাবরুদ্দিন প্রতি বছর শীতের শুরুতে চলে আসেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে। দাসপুর পীরতলা এলাকায় ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের ধারে অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে শুরু হয় খেজুর গুড়ের ব্যবসা।
প্রতিদিন সকাল ও বিকাল, নিয়ম করে ছুটে যান দাসপুরের বিভিন্ন এলাকায়। উদ্দেশ্য একটাই, খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ। আর তাঁকে এই কাজে সহায়তা করেন তিন ছেলে শাহরুখ,আমির ও সলমন। প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০টি খেজুর গাছে চড়ে রস সংগ্রহ করেন শাহরুখ, আমির ও সলমন। খেজুর গাছে হাঁড়ি ঝোলানোর পরিবর্তে তাঁরা টিন ঝুলিয়ে দেন।
তাঁদের কথায়, এখন মাটির হাঁড়ির দাম বেশি। আর তা টেকসই-ও কম। তাই টিনের ব্যবহার করছেন তাঁরা। প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০টি খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে তাঁরা নিয়ে আসেন তাঁদের অস্থায়ী আস্তানায়। তারপর সেই খেজুর রস ফুটিয়ে জ্বাল দিতে দিতে তৈরি করা হয় খেজুর গুড়।
সুস্বাদু, খাঁটি সেই খেজুর গুড় ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন শাহরুখরা। এভাবেই খেজুর রস সংগ্রহ করে তা থেকে গুড় তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন খেজুরির শাহরুখ, আমির ও সলমনরা।