Jagadish Chandra Bose: ১০০ বছর আগে উপমহাদেশে আধুনিক বিজ্ঞানের পথিকৃৎ

Soumitra Sen Tue, 30 Nov 2021-4:02 pm,

একই মানুষ উদ্ভিদবিদ আবার পদার্থবিদও। দু'ক্ষেত্রেই অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী। একটি ক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়ে প্রমাণ করছেন গাছেরও প্রাণ আছে, অন্য ক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়ে বেতারতরঙ্গ ও ক্ষুদ্রদৈর্ঘের তরঙ্গ আবিষ্কার করছেন, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব থেকে যাচ্ছে পরববর্তীকালের বিজ্ঞানচর্চায়।

তিনি জগদীশচন্দ্র বসু। আজ, মঙ্গলবার তাঁর ১৬৩ তম জন্মদিন। ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। 

 

ছোট থেকেই পড়াশোনায় কৃতিত্বের অধিকারী। একটা পর্বে কেমব্রিজে পড়াশোনা করেন। ভারতে ফিরে এসে পুরোদস্তুর বিজ্ঞানসাধনায় নেমে পড়েন। পাশাপাশি অধ্যাপনা। এই পর্বেই তিনি যুগান্তকারী সব কাজকর্ম করেন। প্রমাণ করেন উদ্ভিদের প্রাণ আছে। 

পৃথিবীতে প্রথম কোনও বিজ্ঞানী যিনি সফল ভাবে বেতারতরঙ্গ পাঠাতে সক্ষম হন। এ ক্ষেত্রে আরও এক ইতিহাস সৃষ্টি করা কাজ আছে তাঁর। তিনি মাইক্রোওয়েভ আবিষ্কার করেন। একশো বছর পরে যে ক্ষুদ্রতরঙ্গের বিজ্ঞানের উপর নির্ভর করে খুলে যায় আধুনিক বিজ্ঞানের আরও নানা আকর্ষণীয় দরজা-জানলা।

সারাজীবন নানা মনে রাখার মতো কাজ করেছেন আচার্য জগদীশচন্দ্র। এ দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিজ্ঞানসাধনার ক্ষেত্রে তাঁর অকৃত্রিম অবদান চিরস্মরণীয়। একটা সময়ে তিনি বিজ্ঞানচর্চার দিকে লক্ষ্য রেখে বসুবিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। যেখানে বিজ্ঞানের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্র প্রস্তুত থাকবে। নতুন প্রজন্ম আসবে বিজ্ঞানসাধনায়।

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চারও পথিকৃৎ তিনি। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানের নানা বিষয় লেখেন তিনি। তা এতই উপাদেয় ও স্বাদু যে পরবর্তী ক্ষেত্রে অনেকেই বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান নিয়ে লিখতে আগ্রহী হন। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link