Price Rise: অবশেষে জানা গেল, কেন অগ্নিমূল্য বাজার, কেন আনাজে হাত ছোঁয়ালেই লাগছে ছ্যাঁকা...
অয়ন ঘোষাল: কোন রহস্য? এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের টাস্কফোর্স অফিসারের উপস্থিতিতেই ঝুলি থেকে বেরোল বিড়াল। অফিসারদের সামনেই এক খুচরো সবজি বিক্রেতা, ঢ্যাঁড়শের দাম ৩৮০ টাকা বলেই সামনে অফিসারদের দেখে চমকে উঠে তড়িঘড়ি দাম বলে বসেন ৩০০ টাকা পাল্লা! কিন্তু ততক্ষণে ধরা পড়ে গিয়েছেন তিনি। আর ধরা পড়েই হঠাৎ পগারপার তিনি।
অয়ন ঘোষাল: একটা নয়, এরকম আরও একাধিক ঘটনা ঘটল। ঘটল মাত্র মিনিটপঁচিশের ব্যবধানেই। ফল-- কোথাও সরাসরি বাদানুবাদ, কোথাও তীব্র প্রতিবাদ পাইকারদের। এর মধ্যেই টাস্কফোর্স জানিয়ে দিল, নির্দেশ এসেছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে। তাই এরপর ইচ্ছাকৃত দাম বাড়ানো যাবে না।
অয়ন ঘোষাল: এর অর্থ, এরপর ইচ্ছাকৃতভাবে দাম বাড়ানোর প্রবণতা দেখলেই দ্রুত সংশ্লিষ্ট বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ২০২২-এর মতো বাজারের দোকানে-দোকানে রেট চার্ট টাঙানোও বাধ্যতামূলক করা হবে।
অয়ন ঘোষাল: তবে, পাইকাররা ভাঙলেও মচকাচ্ছেন না। তাঁরা এতকিছুর পরেও এখনও দাবি করছেন, সবজির ফলন কম। যেমন, কাঁচালঙ্কার ফলন এবার অত্যন্ত কম বৃষ্টিপাতের কারণে রাজ্যে প্রায় হয়নি বললেই চলে। তাই দামও বেলাগাম।
অয়ন ঘোষাল: তবে খুচরো বিক্রেতা, যাঁরা কোলে মার্কেটের ক্রেতা, তাঁরাও কিন্তু লাগামহীন এই মূল্যবৃদ্ধির জেরে বেশ অসহায়।
অয়ন ঘোষাল: কী হবে তা হলে এবার? ভয় পেয়ে দাম কমাবেন পাইকারেরা, নাকি এরকমই চলবে।