অমৃতসরের ট্রেন দুর্ঘটনার কিছু মর্মান্তিক ছবি
অমৃতসরের ধোবি ঘাট এলাকায় শুক্রবার রাবণ বধ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বহু মানুষ। সে সময় ওই লাইন দিয়ে ছুটে আসচ্ছিল ডিএমইউ জলান্ধর ও অমৃতসর এক্সপ্রেস।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বহু মানুষকে পিষে দিয়ে চলে যায় ট্রেনটি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১।
রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনি লোহানি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানের বিষয়কে রেলকে জানানো হয়নি।
রেলের চেয়ারম্যান অশ্বীনি লোহানি জানান, এভাবে রেল লাইনে বসে থাকা উচিত হয়নি। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে অমৃতসর এবং মানাওয়ালা স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায়। মধ্যবর্তী জায়গায় ট্রেনের যতটা গতি রাখা হয়, সেই গতিতেই ট্রেনটি চলছিল।
তাঁর যুক্তি, মন জায়গায় রেলের কোনও কর্মী নিযুক্ত থাকে না। লেভেল-ক্রসিংয়ে একমাত্র দেখভাল করে রেলের কর্মী।
রেল কর্তৃপক্ষ সাফাই দেয়, জরুরীকালীন ব্রেক কষলেও কোনও সুবিধা হত না। উল্টে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
রেল প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিনহার দাবি, ট্রেনের গতি একটা নির্দিষ্ট সীমায় বাঁধা ছিল। ঘটনাস্থলে রেল লাইনে বাঁক থাকায় এবং অন্ধকারেরর জন্য আগাম বিপদ বুঝতে পারেননি চালক।
সংবাদিক বৈঠকে অমরিন্দর জানান, এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত করা হবে।
রিপোর্ট আসতে ৪ সপ্তাহ সময় লাগবে। এর পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে স্পষ্ট করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।
অমরিন্দর এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে আরও জানান, জেলা শাসককে ৩ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।