নেহরা-বীরু-ধোনি-বিরাট নিয়ে অকপট সৌরভ
'দাদাগিরি': লর্ডসের ন্যাটওয়েস্ট ফাইনালে জেতার পর আমিও জার্সি ওড়ালাম। তবে সেটা একেবারেই পরিকল্পিত ছিল না। জীবনে এমন অনেক কিছু হয়, যার উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
দল নির্বাচন প্রসঙ্গে: আমি চেয়েছিলাম ম্যাচ উইনার ক্রিকেটারদের। কখনই চাইনি আমার দলে ড্র করা ক্রিকেটার থাকুক। আমার সময় ভারতীয় দলে একটা ভাল মিশ্রণ ছিল।
বীরেন্দ্র সেওয়াগকে দিয়ে ওপেন করানো: টেস্ট ক্রিকেটে ডেলিভারি ছেড়ে ছেড়ে বল পুরনো করতে হয়। বীরু-কে দেখলাম মেরে মেরে বল পুরনো করতে। টেস্ট ক্রিকেটে ৮ হাজার রান, যার ‘ইমপ্যাক্ট’ মারাত্মক।
আশিষ নেহরা প্রসঙ্গে: দল থেকে বাদ পড়লেই আমার ঘরে আসত, আর আমি চা খাইয়ে বলতাম এখন মাথা ঠান্ডা কর। পরের ম্যাচে খেলবি।
প্রসঙ্গ ধোনি: ধোনি প্রথম ২টো ম্যাচে সাত নম্বর খেলেছে। আমি দেখেছি ওর মধ্যে প্রতিভা আছে। সাতে ব্যাট করে ও কখনই বড় ক্রিকেটার হতে পারত না। ঠিক করি, তিনে ব্যাট করতে পাঠাবো। আমি চারে নেমে ওকে তিনে পাঠালাম। ধোনি সফল হয়েছে।
প্রসঙ্গ বিরাট কোহলি: বিরাট চায় ফিট দল। লোকে সমালোচনা করলেও ও ভিন্ন চিন্তা ভাবনার মানুয। আমি বিরাটের থেকে অনেক কিছু আশা করি। মনে প্রাণে চাই বিরাট দেশের বাইরে টেস্ট জিতুক। দেশ বিরাটকে ভরসা করে।
সৌরভের কাছে সেরা প্রতিদ্বন্দ্বী: অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ ওয়া, রিকি পন্টিংয়ের দলকে হারানোর আনন্দই ছিল আলাদা। তাঁর মতে, ৮-এর দশক থেকে এখনও পর্যন্ত সেকরম অস্ট্রেলিয়া দল আর দেখিননি তিনি।
ক্রিকেট ও সৌরভ: সৌরভ জানান, তাঁর সময় ভারতীয় দলের প্রতিটি ক্রিকেটার একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল। এই দলেও তাই আছে। সৌরভের কাছে ভারতের হয়ে খেলা তাঁর জীবনের ১৫টা বছর ছিল সবথেকে বর্ণময়। তাঁর বক্তব্য, “তুমি যত টাকাই কামাও, এই অভিজ্ঞতা আর কোথাও পাবে না। একটা ফাস্ট বোলারকে কভার ড্রাইভ মারার পর যে আনন্দ হয়, দর্শকদের তালিতে যতটা খুশি হওয়া যায় তা আর কিছুতেই নেই। এর কোনও বিকল্প নেই”।