খেলা থেকে রাজনীতির ক্ষমতায় ...
# জর্জ উইয়া : প্রথমেই আসছে জর্জ উইয়ার নাম। ২০০৩ সালে খেলা থেকে অবসর নেন তিনি। তার পর থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। কয়েক মাস আগে নির্বাচনে জিতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন।
# আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার : হলিউডে একাধিক হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয় জগতে আসার আগে একজন বডি বিল্ডার হিসাবে পরিচিত ছিলেন আর্নল্ড। মিস্টার ইউনিভার্স, মিস্টার অলিম্পিয়া আর্নল্ড ২০০৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নির্বাচিত হন। ২০০৭-১১ সাল পর্যন্ত আবারও তিনি গর্ভনর হিসাবে নির্বাচিত হন।
# রোমারিও : ১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী নায়ক রোমারিও। বিশ্বজয়ী এই ব্রাজিলিয় তারকা ব্রাজিলের সেনেটর হয়েছেন দু'বার। রাজধানী রিও ডি জেনেইরোর গর্ভনরের জন্য নির্বাচনে লড়তে চলেছেন।
# বেবেতো : ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপ জয়ী আর এক ব্রাজিলিয় তারকা বেবেতো রিওতে নিম্ন-অ্যাসেম্বলির সদস্য। এবার সেনেটর হওয়ার দৌড়ে।
# মহম্মদ আজহারউদ্দীন : ২০০২ সালে ক্রিকেট ছাড়ার পর সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। ২০০৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন। উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ থেকে নির্বাচনে জিতে সাংসদ হন আজাহার।
# রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর: ২০০৪ সালে অলিম্পিক শুটিংয়ে রুপো জেতেন। কমনওয়েলথ এবং এশিয়ান গেমসেও পদক জিতেছেন। ২০১৩ সালে ক্রীড়া জগৎ থেকে অবসর নেন। আর ২০১৪ সালে বিজেপির সাংসদ নির্বাচিত হন। বর্তমানে রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর ক্রীড়ামন্ত্রী। সঙ্গে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
# নভজিৎ সিং সিধু : রাজনীতি এবং টেলিভিশনের দৌলতে সিধুর ক্রিকেটিয় কেরিয়ার এখন অনেকটাই ধামাচাপা পড়ে গেছে। জাতীয় দলের অন্যতম ওপেনার ছিলেন তিনি। সিধু ২০০৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৭ সালে দলবদল করে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। বর্তমানে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের মন্ত্রিসভার সদস্য।
# অর্জুনা রনতুঙ্গা : শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক রনতুঙ্গা খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পরই রাজনীতিতে আসেন। লঙ্কান ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা এই অধিনায়ক বর্তমানে দেশটির পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
# সনত্ জয়সূর্য : '৯৬-র বিশ্বকাপজয়ী লঙ্কান ক্রিকেটার সনত্ জয়সূর্য রাজনীতিতেও তিনি নিজের অধিনায়ককেই অনুসরণ করতে শুরু করেন। ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার মাতারা এলাকার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
# ম্যানি প্যাকিয়াও : দোর্দণ্ড প্রতাপশালী বক্সার ছিলেন। রিংয়ে এক নিমেষে ধরাশায়ী করতেন প্রতিপক্ষকে। জন্মস্থান ফিলিপিন্সের প্রতি ভালবাসা থেকেই ম্যানির রাজনীতিতে আসা। ২০১০ সালে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য হন। ২০১৩ সালে পুনর্নির্বাচিত হন।
# জিম রায়ান : ট্র্যাকে চিতার মতো দৌঁড়তেন তিনি। ৮৮০ মিটার হার্ডলসে বিশ্বরেকর্ড রয়েছে তাঁর। ১৯৬৮ সালে অলিম্পিকে ১৫০০ মিটার দৌড়ে রুপো জেতেন তিনি। খেলার মতো রাজনৈতিক জীবনের রেসেও তিনি হারতে শেখেননি। ১৯৯৬ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য হন।
# ইমরান খান : এই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান খান। ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপজয়ী ইমরান ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানে তেহরিক-ই-ইনসাফ নামে নিজের একটি দল গঠন করেন। পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জিতে এবার পাক প্রধানমন্ত্রী হলেন ইমরান খান।