বরাতজোরে বাঁচল মা-দিদা, গির্জায় জঙ্গিহানার ভয়াবহতার কথা শোনালেন লঙ্কার ক্রিকেটার
ইস্টার সানডে হয়ে উঠল ভয়াবহ। শ্রীলঙ্কায় গির্জার জঙ্গিহানার ভয়াবহতা ষে কয়েকজন প্রত্যক্ষ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে দাশুন শনাকা একজন। জঙ্গিহানার ভয়াবহতা দেখার পর থেকে আতঙ্কে ভুগছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার এই অলরাউন্ডারের মা এবং দিদা নিগম্বো এলাকার চার্চে গিয়েছিলেন। জঙ্গি হানায় বরাতজোরে বাঁচলেন তাঁরা। শলাকা নিজেও সেই সন্ত্রাসী হামলার মধ্যে পড়তে পারতেন। কিন্তু প্রায় ১৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আসায় তিনি ক্লান্ত ছিলেন। চার্চে না গিয়ে তিনি বিশ্রামে থাকবেন বলে ঠিক করেন। তবে হামলার কথা শোনার পরই তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। মা ও দিদার সন্ধানে। গিয়ে যে ভয়াবহ দৃশ্য তিনি দেখেন তাঁর বর্ণনা দিলেন।
শানাকা বলছিলেন, 'বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনি। এরপরই সবাই বলাবলি করতে থাকে যে গির্জায় বোমা হামলা হয়েছে। মা ও দিদা তখন ওখানে। আমি আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ি। গির্জায় সামনে গিয়ে দেখলাম সব কিছু তছনছ হয়ে গিয়েছে। চারপাশে চাপ চাপ রক্ত। মানুষের ক্ষত বিক্ষত শরীর পড়ে রয়েছে। ওই দৃশ্য ভোলার নয়।'
শনাকা আরও বললেন, মাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে থাকি। ভাগ্যজোরে মাকে খুঁজে পাই। এরপর দিদাকে খুঁজতে শুরু করি। একজনের থেকে জানলাম সে দিদাকে গির্জার ভিতরে দেখেছিল। আমার মন ভেঙে গেল। আমি তখন নিশ্চিত, ভেতরে আর কেউ বেঁচে নেই।
বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছিলেন শনাকার দিদা। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার বললেন, মা বাইরের দিকে জানালার ধারে ছিলেন। তার পাশেই বড় একটা দেয়াল ছিল। সে জন্যই মা বেঁচে গিয়েছে। তবে ভালরকম চোট লেগেছে। দিদাকে জীবিত পাব বলে আশা করিনি। কিন্তু দিদাকেও ফিরে পেয়েছি। দিদার শরীরে একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছে।