বিচিত্র দেশ! অক্সিজেন ও মদের দোকান-দুয়েতেই সমান লাইন
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের চিত্রটা বড়ই আজব। কেউ মনোরঞ্জনে ব্যস্ত। কেউ আবার প্রিয়জনের প্রাণ বাঁচাতে। তাঁরা চাঁদি ফাটা রোদে অক্সিজেনের খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছে এদিক-ওদিক। আর একাংশ মদের স্টক ভরতে দাঁড়িয়ে পড়েছেন লাইনে।
প্রথমে যদি মনোরঞ্জনের দিকটা দেখা যায়, তাহলে বলতেই লাগে দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাবের শহরাঞ্চলের ঘটনা। লকডাউন ঘোষণা হতেই মুদি সদাই মজুত রাখার পাশাপাশি মদের খোঁজে বেড়িয়ে পড়েছেন একাংশ। আর তাই তড়িঘড়ি পৌঁছে গিয়েছেন মদের দোকানে। সেখানে দেখা লম্বা লাইন।
অন্যদিকে, একইভাবে লম্বা লাইন দেখা গেল মেডিক্যাল অক্সিজেন সেন্টারে। প্রিয়জনের প্রাণ বাঁচাতে অক্সিজেনের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা।
দুটো ক্ষেত্রেই অবশ্য করোনা বিধি শিকেয় উঠেছে। প্রসঙ্গত, গোটা দেশজুড়ে অভাব দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের। স্বাস্থ্যমন্ত্রক যত দ্রুত সম্ভব অক্সিজেনের যোগান দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
অন্যদিকে রেলমন্ত্রী অক্সিজেন এক্সপ্রেস গ্রিন করিডোর করে রাজ্যে রাজ্যে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশে আরও বেশকিছু মেডিক্যাল অক্সিজেন সেন্টার তৈরি করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গতবছর এতটা ভয়াবহ হয়নি করোনা পরিস্থিতি। দৈনিক সংক্রমণ লক্ষাধিক ছুঁতে সময় লেগেছিল প্রায় আট মাস। এবছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রায় ৩ লাখ ছুঁতে সময় নিয়েছে মাত্র দু মাস।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলেও তা যথাযথ নয়। বেসামাল হয়ে পড়েছে হাসপাতালগুলি। এহেন সময় একদল করোনাকে বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করে পৌঁছে গিয়েছেন মদের দোকানে।
ঠিক যেমনটা গতবছর দেখা গিয়েছিল লকডাউন ঘোষণা হওয়ার মুহূর্তে। ভয়াবহ ২০২০ সাল কাটানোর পরও করোনার ভয়ে ভীত নয় তাঁরা।