পুতুল নয় সত্যি! এক বার ছুঁয়ে দেখুন
রবি ঠাকুরের ‘কৃষ্ণকলি’ কি না বলতে পারব না, আফ্রিকা মহাদেশের এ কন্যের কালো হরিণ চোখে মজেছেন হালের নেটিজেনরা। ময়না পাড়ার মোড়ে কালো মেয়ের কালো হরিণ চোখ দেখে যেমন রবিঠাকুর মুগ্ধ হয়েছিলেন, তেমনই এই মেয়ের নিকষ কালো রূপেও মুগ্ধ ইন্টারনেট জগত্।
না সে অষ্টাদশী, না ষোড়শী, মাত্র ৫ বছর বয়সের এক রত্তি সে। আর এই বয়সেই এমন তাক লাগানো রূপ দেখে বিস্মিত সকলে। আবার যদি স্থির হয়ে সে বসে থাকে, তা হলে পুতুল ভেবে ভুলও করতে পারেন আপনি! ভাবছেন কে সে, তাই তো?
নাইজেরিয়ার অধিবাসী জারে-র রূপেই আপাতত কুপোকাত তামাম নেট দুনিয়া। কিন্তু, সুদূর নাইজেরিয়া থেকে একেবারে বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রে কীভাবে পৌঁছল এই ছোট্ট মেয়েটি?
লাইফস্টাইল ফোটোগ্রাফার মোফে বামুইয়া ‘আবিষ্কার’ করেন মেয়েটিকে। তাঁর এমন রূপ দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন মোফে। এরপরই জারের মায়ের সঙ্গে তিনি কথা বলেন তার একটি ফোটোশ্যুট করার বিষয়ে। মেয়েটির মাকে মোফে বোঝান, “আপনার এই মেয়ের চোখে গোটা বিশ্ব আটকে থাকবে।”
মোফের দূরদৃষ্টি যে একেবারে নির্ভুল ছিল, আজকে জারের জনপ্রিয়তাই তার প্রমাণ।
এবার চিত্রগ্রাহকের চোখে ছোট্ট মেয়েটির রূপ একটু বর্ণনা করা যাক। মোফে জানাচ্ছেন, “তার ত্বক এতটাই মসৃণ যে ফোটো এডিটিং-এ কোনও কারসাজিরই প্রয়োজন হয়নি। চুলের এমন বাহার সত্যি বলতে ক’জনের থাকে!” তিনি আরও বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমি তাকে পুতুল ভেবে ফেলি!’
জারের আরও দুই বোন রয়েছে। ৭ বছরের জমি এবং বছর দশেকের জোবাও বেশ আবেদনময়ী। এই তিন কন্যের একটি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলও রয়েছে। তাদের ‘ফলো’ করেছেন প্রায় ২১ লক্ষ জনতা।
জারের মতো এত কম বয়সে দুনিয়া কাঁপিয়েছে আরও অনেকে। রাশিয়ার আনা পাবগা, তাদের মধ্যে অন্যতম। মাত্র ৩ বছর বয়সে ফোটোশ্যুট করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সে। ইনস্টাগ্রামে তার ৪.৯০ লক্ষ ফোলোয়ার রয়েছে।
রাশিয়ার আরও এক কন্যে আনাসতাসিয়া কিনিয়াজেভাও তার রূপের সৌজন্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে বিশ্বে। বয়স মাত্র ৭, এর মধ্যেই ইনস্টাগ্রামে ১০ লক্ষ ফোলোয়ার তার।
শেষ পর্যন্ত যার কথা না বললে এই কাহিনি শেষ হবে না, তিনি হলেন ফ্রান্সের থিলান ব্লঁদিওঁ। মাত্র ৪ বছরে ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী’ মেয়ে হিসাবে পরিচিতি পায় সে। এখন ফ্যাশন জগতের অন্যতম সেরা মডেলের জায়াগায় রয়েছেন ১৭ বছর বয়সী এই ফরাসি তরুণী।