সুভাষ ঘাই-এর জন্যই ছবি পাই না, `গডফাদার`-এর বিরুদ্ধেই সরব মহিমা, কী বললেন পরিচালক?
একসময় তাঁর হাত ধরেই বলিউডে ছবির দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন। 'সুভাষ ঘাই'কে মহিলার 'গডফাদার' হিসাবেই জানে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।তবে এবার সেই সুভাষ ঘাই-এর বিরুদ্ধেই সরব হলেন মহিমা চৌধুরী।
সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে মহিমা চৌধুরীর তাঁর প্রথম ছবির 'পরদেশ'-এর পরিচালকের বিরুদ্ধে সরব হন মহিমা চৌধুরী।
মহিমা চৌধুরীর অভিযোগ, ''আমার কেরিয়ার অকালে শেষ হয়ে যাওয়ার কারণই হলেন সুভাষ ঘাই। তিনিই প্রযোজকদের বলতেন, যাতে আমার সঙ্গে কেউ না কাজ করেন।''
মহিমার দাবি, ''সুভাষ ঘাই ১৯৯৮ অথবা ১৯৯৯ সালে ট্রেড গাইড পত্রিকায় বলেন, তাঁর সঙ্গে আমার বিশেষ চুক্তি রয়েছে। তাই আমার সঙ্গে কাজ করতে হলে আগে সুভাষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। যদিও এধরনের কোনও চুক্তিই আমর সঙ্গে সুভাষ ঘাইয়ের ছিল না।''
এমনকি সুভাষ ঘাই তাঁকে আদালতেও পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন মহিমা চৌধুরী।
মহিমার কথায়, সেসময় তিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মাত্র ৪ জন ব্যক্তিকেই পাশে পেয়েছিলেন। এরা হলেন, সলমন খান, সঞ্জয় দত্ত, ডেভিড ধাওয়ান ও রাজকুমার সন্তোষী। এরা তাঁকে ফোন করে পাশে থাকার কথা বলে আশ্বস্ত করেন। বাকি আর কেউ ফোন করেননি বলে জানান মহিমা।
মহিমা চৌধুরী আরও জানান, ১৯৯৮ সালে রামগোপাল বর্মার 'সত্য' ছবির জন্য আমাকে সই করানো হয়েছিল। পরে সেটা উর্মিলা মাতন্ডকরকে দিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি সেটা তাঁকে পরিচালক রামগোপাল বর্মা না জানিয়েই করেছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর। পরে সেটা আমি সংবাদমাধ্যমের থেকে জানতে পারি, ছবির শ্যুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। সেটা খুব সম্ভবত আমার দ্বিতীয় ছবি হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে মহিমা চৌধুরী এমন অভিযোগ তোলায় হতবাক পরিচালক সুভাষ ঘাই। তিনি বলেন, ''মহিমার মুখে এধরনের কথা শুনে আমি হতবাক। ওর সঙ্গে আমার এখনও ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। এমনকি ও কিছুদিন আগেও আমায় মেসেজ করেছিল, ২৩ বছর পরও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরদেশ-এর গানে ওকে কীভাবে স্বাগত জানানো হয়। মহিমা ভালো মেয়ে ওকে আমি বিশ্বাসও করি। হতে পারে, ও কোনও কথা প্রসঙ্গে এধরনের মন্তব্য করেছে।''
তবে 'পরদেশ' ছবির ঠিক পর পরই মহিলার সঙ্গে যে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল সেটা স্বীকার করে নেন সুভাষ ঘাই। তাঁর কথায়, ''১৯৯৭ সালে পরদেশ মুক্তি পাওয়ার পরপরই চুক্তিভঙ্গ করায় আমার কোম্পানি ওকে নোটিস পাঠিয়েছিল। যেটা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বহু আলোচনা হয়েছিল। পরে আমি সেই চুক্তি তুলে নিয়েছিলেন। হতে পারে মহিমা সেই বিষয়টা এখনও ভুলতে পারেনি।''
সুভাষ ঘাই আরও বলেন, ''তিন বছর পর মহিমা আমার কাছে এসে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিল। তারপর সব ভুলে আমাদের আবারও ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। তারপর পুরো বিষয়টা নিয়েই এখন আমাদের মধ্যেই মজা করেই কথা বলা হয়। এধরনের ঝগড়া তো জীবনেরই অঙ্গ।''