`সোলার মিনিমাম`-এর কতটা প্রভাব পড়বে পৃথিবীতে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
কিছুদিন আগেই জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা দাবি করেন যে, ক্রমশ কমছে সূর্যের তেজ আর উজ্জ্বলতা! এ বার বিজ্ঞানীদের দাবি, সূর্যপৃষ্ঠের উপরে ঘটে চলা ক্রিয়াকলাপ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। অর্থাৎ, সূর্যেও নাকি ‘লকডাউন পর্ব’ শুরু হয়েছে। এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে সান প্রতিবেদনে। তবে, সানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূর্যের লকডাউনে ভূমিকম্প, অগ্ন্যুতপাত বা জলবায়ুর পরিবর্তন হতে পারে। তবে, FACT Checker Climate Feedback সংস্থা দাবি করছে, এ ধরনের খবর অসত্য। যথাপোযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই এমনটা দাবি করা হচ্ছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডঃ টনি ফিলিপস জানান, ‘সোলার মিনিমাম’ পর্ব শুরু হয়েছে। সূর্যের শরীরে সৌর কলঙ্কের চিহ্ন ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। একই সঙ্গে সূর্যের চুম্বকীয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে মহাজাগতিক রশ্মি অতিরিক্ত মাত্রায় সৌরজগতে প্রবেশ করছে।
সৌর বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এমনই এর ‘সোলার মিনিমাম’-এর প্রভাবে ১৮১৫ সালের ১০ এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট টাম্বোরাতে হওয়া ভয়ঙ্কর অগ্ন্যুৎপাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭১ হাজার মানুষ। এর ঠিক পরের বছরই (১৮১৬ সাল) ‘বিনা গ্রীষ্মের বছর’ দেখেছিল পৃথিবী। সে বছর জুলাই মাসে বিশ্বের বহু জায়গায় বরফ পড়েছিল। এই ঘটনা বিজ্ঞানীদের কাছে ‘ডালটন মিনিমাম’ নামে পরিচিত।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডঃ ফিলিপস উদ্বেগের সঙ্গে জানান, এই ‘সোলার মিনিমাম’-এর প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীতেও। খরা, তীব্র শীত, অগ্ন্যুত্পাত বা ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের ঘটনা বেড়ে যেতে পারে পৃথিবীতে। পৃথিবী ফের সম্মুখীন হতে পারে ‘ডালটন মিনিমাম’-এর মতো ভয়ঙ্কর পর্বের।
তবে এই তত্ত্ব নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিজ্ঞানীরা। নরওয়েজিয়ান মেটেওরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট-এর প্রবীণ বিজ্ঞানী রাসমাস বেনেস্টাড মতে, ‘ডালটন মিনিমাম’-এর মতো ভয়াবহতা পুনরাবৃত্তি হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাঁদের দাবি,পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের উপর এই সোলার মিনিমাম এর প্রভাব পড়বে খুব সামান্যই। আর ভূমিকম্প বা অগ্ন্যুত্পাত এর সঙ্গে এর কোনও সম্পর্কই নেই।