লোকসভায় রাজ্যে দুরন্ত উত্থান বিজেপির, নিশ্চিহ্ন বাম-কংগ্রেস, আভাস সমীক্ষার
পশ্চিমবঙ্গে ২২টি আসন জেতার টার্গেট নিয়েছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নিজেও রাজ্যে এসে নেতা-কর্মীদের সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এবিপি-র 'দেশ কা মুড' সমীক্ষার আভাস মিলে গেলে, এরাজ্যে ২২ তো দূর, দু'অঙ্কের আসনই ছুঁতে পারছে না গেরুয়া শিবির।
সমীক্ষার আভাস, বাংলায় ৯টি আসন পেতে পারেন দিলীপ-মুকুলরা। ৩২টি আসন পকেটে পুরছে তৃণমূল। একটি পেতে পারে কংগ্রেস।
২০১৪ সালে বাংলা থেকে তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছিল ৪টি। ২টি করে আসন পেয়েছিল সিপিএম ও বিজেপি।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগেই ৪২-এ ৪২ আসনের লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রীই। বিজেপিকে একটাও আসন দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাসক দল। সেই জায়গায় ৯টি আসন ছিনিয়ে নিচ্ছে গেরুয়া শিবির।
সমীক্ষার আভাস বাস্তবে ফলে গেলে এরাজ্যে প্রথমবার অসাধ্য সাধন করতে চলেছে বিজেপি। ২০১৪ সালের আগে রাজ্যে গেরুয়া শিবির অস্তিত্বই টের পাওয়া যেত না। সেই জায়গা থেকে ৯টি আসন বেশ চমকপ্রদই।
বিজেপির পৌষ মাস হলেও কংগ্রেস ও সিপিএমের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। কংগ্রেস কোনওক্রমে একটি আসন বাঁচাতে পারলেও সিপিএম শূন্যে ঠেকছে। রাজ্য রাজনীতিতে যা বেনজিরই। সেটা হলে সিপিএমের অল্পবিস্তর সংগঠন আরও বড় ধাক্কা খাবে বলে মত অনেকেরই।
সমীক্ষা যে হুবহু মিলে যায়, তার গ্যারান্টি কেউই দিতে পারেন না। তার উপরে বাংলার মতো রাজনীতিমনস্ক রাজ্যে সমীক্ষা মেলানো প্রায় অসম্ভব। ফলে বিজেপির উত্থান আদৌ কতটা হয়, সেটা বলে দেবে ভোটের ফলই।
প্রসঙ্গত, 'দেশ কা মুড' সমীক্ষার আভাস, উত্তরপ্রদেশে মহাজোট না হলে ত্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকাবেন নরেন্দ্র মোদী।এনডিএ পেতে পারে ২৬১টি আসন। অর্থাত্ যাদুসংখ্যা ২৭২ আসনের ১১টি আগে মাটিতে বসবে মোদীর চাকা। ১১৯টি আসন পেতে পারে ইউপিএ।
কিন্তু মহাজোট না হলে ২০১৪ সালের মতো এনডিএ জোট ত্রিপল সেঞ্চুরি করবে। ১১৬টি আসনেই থেমে যেতে হবে ইউপিএ জোটকে। তবে ত্রিপল সেঞ্চুরি হলেও তার বেশি এগোতে পারছে না পদ্মব্রিগেড।