রিয়াকে মাদক সরবরাহ করত সুশান্তের বাড়ির কর্মী দীপেশ! উঠে এল বড় তথ্য
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় সম্প্রতি উঠে এসেছে মাদক চক্রের যোগ। এই মামলায় ইতিমধ্যেই রিয়ার বিরুদ্ধে 'নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইন' (NDPC) এর আওতায় মামলা দায়ের করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
এরই মাঝে রিয়ার বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে উঠে এল আরও বড় তথ্য। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে রিয়া ও সুশান্তের বাড়ির হাউস কিপার দীপেশ সাওয়ান্তের ১২০টি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। যার মধ্যে ৪৫টি হোয়াটসঅ্যাপ মাদক চক্র সংক্রান্ত।
রিয়া এই সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ ডিলিট করে দিয়েছিলেন, তবে ইডির তরফে রিয়ার ডিলিট করা সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। আর সেই চ্যাটের মধ্যেই দীপেশ-রিয়ার কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে।
২০২০-র ২৭ এপ্রিল দীপেশ হোয়াটসঅ্যাপে রিয়াকে '৫হাজার টাকায় একটি সবুজ ব্যাগ পাওয়ার জিজ্ঞাসা করেন। রিয়া দীপেশকে লেখেন, 'তুমি কি আছো?'
এর পরের একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে রিয়া জয়া সাহাকে লেখেন, ''আমাদের কাছে এখন হ্যাশ (মাদকের নাম) আছে?''
এরপরের হোয়াটসঅ্যাপে দীপেশ রিয়াকে লেখেন, ''হ্যাঁ, আমরা আর ৩-৪ দিনের মধ্যেই পেয়ে যাবো।''
রিয়ার সঙ্গে দীপেশের এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় দীপেশ সাওয়ান্ত সুশান্তের বাড়ির সাধারণ কর্মী ছিলেন না। তিনি মাদক চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এর আগে মাদক ব্যবসায়ী গৌরব আর্যের সঙ্গেও রিয়ার কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে। চ্যাটে রিয়া গৌরবকে জিজ্ঞেস করছেন, 'তোমার কাছে কি এমডি আছে?' এমডি হল MDMA (Methylenedioxymethamphetamine)। এটি এক ধরণের মাদক, যাতে খুব গাঢ় নেশা হয়৷
২৫ নভেম্বর, ২০১৯ রিয়া ও ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহার মধ্যে যে কথা হয়, তাতে জয়া রিয়াকে বলেন, '' আমি ওকে শ্রুতির সঙ্গে যোগাযোগ করে নিতে বলেছি।'' উত্তরে রিয়া জয়া সাহাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জয়া আবার লিখেছেন, ''আশাকরি এতে উপকার হবে।''
২৫ নভেম্বর জয়া সাহা রিয়াকে হোয়াটসঅ্যাপে লিখেছেন, ''চায়ের সঙ্গে ৪ ড্রপ দিলেই হবে, ৩০-৪০ মিনিটে কাজ করবে।'' এখানে কার চায়ের মাদক মেশানোর কথা বলে হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। মনে করা হচ্ছে সুশান্তের চায়ের সঙ্গে মাদক মেশানোর কথা বলা হয়ে থাকতে পারে।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়া প্রথম কল করেন জয়া সাহাকে। সুশান্তের মৃত্যু হয় ২.২৭ মিনিটে আর রিয়া জয়াকে ফোন করে ২.৩৩ মিনিটে।
শুধু রিয়া, আর্য, জয়া কিংবা দীপেশই নয়, মাদক নিয়ে সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার সঙ্গেও কথা হত রিয়ার। স্যামুয়েলকে রিয়া চ্যাটে লিখেছেন, ''তুমি কি ১৭ হাজার টাকায় দুটো গাঁজার ব্যাগ দীপেশকে দিতে পারবে? একটা আমদের জন্য আর একটা ওর জন্য। পরে ও ওটা আমাদের দিয়ে দেবে।'' মিরান্ডা উত্তরে লিখেছেন হ্যাঁ, পারি।
১৭ এপ্রিল ২০২০-এর একটা চ্যাটে মিরান্ডা রিয়াকে বলেন, ''হাই রিয়া, স্টাফ প্রায় সব শেষ।' মিরান্ডা রিয়াকে জিজ্ঞেস করেন, "আমরা কি শৌভিকের বন্ধুর কাছ থেকে এই ব্যাপারে সাহায্য নিতে পারি?" তবে তার কেবল হ্যাশ এবং বাড রয়েছে।''