`১৮ হলে নিজের জন্মদাতা বাবা-মাকে খুঁজে নিতে পারো`, শুনে কী বলেছিলেন সুস্মিতা কন্যা?
তখন তিনি কেরিয়ারের মধ্যগগনে, ২০০০ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে রেনে-কে দত্তক নেন প্রাক্তন মিস ইউনির্ভাস, অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন।
তারও বেশ কয়েকবছর পর ২০১০এ আরও এক কন্যা সন্তান আলিশাকে দত্তক নেন সুস্মিতা। তারপর দুই সন্তান রেনে ও আলিশাই হয়ে ওঠে সুস্মিতার জীবনের সবকিছু।
বরাবরই জীবনকে নিজের মতো করে পরিচালনা করেছেন এই বঙ্গ তনয়া। কন্যা সন্তান দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত, সুস্মিতার তেমনই এক পদক্ষেপ।
তবে মেয়ে রেনে যখন ১৮য় পা রাখলেন, তখন সুস্মিতা মেয়েকে জানিয়ে দেন, তিনি চাইলে তাঁর জন্মদাতা বাবা-মাকে খুঁজে নিতে পারেন। সে অধিকার তাঁর আছে। আর একথা অভিনেত্রী নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন।
সুস্মিতা বলেছিলেন, ''আমি জানি না, আদালতের কাছে ওর জৈবিক বাবা-মায়ের নাম আছে কিনা, তবে একটি খামে বেশকিছু তথ্য রয়েছে, যেটা ১৮-র পর একান্তই ওর (রেনের)।''
সুস্মিতার কথায়, '' আমি কখনওই ওকে ভুল তথ্য দিতে চাই না, আর এটাও চাই না, ও কষ্ট পাক। আমি ওকে (রেনেকে) বলি, ও যখনই চাইবে আমি ওকে নিয়ে যেতে রাজি। আমাদের যেতে হবে।''
মা সুস্মিতা সেনের মুখে একথা শুনে পাল্টা প্রশ্নে বছর ১৮র রেনে বলেন, ''কিন্তু কেন তুমি চাও আমি এটা খুঁজে বের করি? তোমার সমস্যাটা কোথায়? কেন তুমি চাও আমি এইসব করি!'' রেনে তাঁর মা সুস্মিতা কে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি তাঁর জন্মদাতা বাবা-মায়ের কথা জানতেও চান না।
তবে ধীরে ধীরে রেনে বড় হয়ে ওঠার পর তাঁকে দত্তক নেওয়ার কথাও জানিয়েও দিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে মেয়েকে দত্তক নেওয়ার কথা কীভাবে জানিয়েছিলেন সুস্মিতা, একথা প্রথমবার শুনে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল রেনের? সাক্ষৎকারে সেকথাও খোলসা করেছিলেন তিনি। সুস্মিতার কথায়, সত্যিটা জেনে মেয়ের মনে চাপ পড়তে পারে। তাই এক্ষত্রে তিনি গ্রহণ করেছিলেন এক অন্যরকম উপায়। বিষয়টা খেলার মাধ্যমে বুঝিয়ে ছিলেন তাঁর মেয়েদের।
সেটা কীরকম? সুস্মিতা জানালেন, ''আমরা বিপরীতধর্মী একটা খেলা খেলছিলাম। মানে লম্বা-বেঁটে এইসব। তারপর এই খেলার ছলেই আমি এনেছিলান ঔরসজাত সন্তান ও দত্তক সন্তানের প্রসঙ্গ। রেনে প্রশ্ন করেছিল, ও কি তাহলে দত্তক সত্তান? আমি বললাম হ্যাঁ, ঔরসজাত সন্তান বিষয়টা বোরিং। তুমি বিশেষ, তুমি হৃদয় থেকে জন্মেছো।''
এরপর ও বাকিদের বলত, 'তুমি ঔরসজাত সন্তান? তুমি তাহলে বোরিং'। রেলে ও আলিশা দুজনের ক্ষেত্রেই এটা ম্যাজিকের মত কাজ করেছিল। খুব শান্তি পেয়েছিলাম যে আমার এই পন্থাটা ম্যাজিকের মতো কাজ করেছিল দেখে।"