Euthanasia Device: ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’র অনুমোদন সুইৎজারল্যান্ডে, ১ মিনিটেরও কম সময়ে যন্ত্রণাহীন মৃত্যু এই যন্ত্রে!
ইউথেনেশিয়া বা ইচ্ছে মৃত্যু বা বলা ভাল ইচ্ছে মৃত্যুর অধিকার। এই নিয়ে বিশ্বে আইনি লড়াই অনেকদিনের। এবার এমনই এক যন্ত্রের আইনি স্বীকৃতি দিল সুইৎজারল্যান্ড। ওই যন্ত্রের নাম 'সারকো'। ছবি সৌজন্য- টুইটার
যন্ত্রটির সাহায্যে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেওয়া যাবে। কফিন আকৃতির ওই যন্ত্রে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমিয়ে এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে মৃত্যু ডেকে আনা হয়। কোনও ব্যক্তির বেদনাহীন ইচ্ছামৃত্যু ত্বরান্বিত করতে এই যন্ত্র তৈরি করছে সুইস সংস্থা একজিট ইন্টারন্যাশনাল।
থ্রি-ডি প্রিন্টেড পোর্টেবল এই ক্যাপসুলে শুয়ে পড়লে এক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু নিশ্চিত। বিশ্বের যে সব দেশের স্বেচ্ছামৃত্যুকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে যে সব উন্নত যন্ত্র আছে, 'সারকো' সেগুলির মধ্যে সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। ছবি সৌজন্য- টুইটার
ইউথেনশিয়া অর্থাৎ ইচ্ছামৃত্যুকে আগেই স্বীকৃতি দিয়েছিল সুইশ সরকার। গত বছরই এভাবে মারা গিয়েছেন সেদেশের ১৩০০ জন। ‘ডক্টর ডেথ’ এই যন্ত্রটি তৈরির নেপথ্যে রয়েছেন ফিলিপ নিটশে। ছবি সৌজন্য- টুইটার
কীভাবে কাজ করবে এই মেশিন? দুভাবেই এই যন্ত্রকে পরিচালনা করা যায়। বাইরে থেকে যেমন চালানো যায়, তেমনই ভিতরে থাকা ব্যক্তিও এটি চালাতে পারবেন। কেবলমাত্র চোখের পাতা ফেলার উপরেই যন্ত্র চালু করার সঙ্কেত তৈরি করা হয়েছে।
মরণে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগেরই পেশিশক্তি ব্যবহার করার ইচ্ছা থাকে না। সেক্ষেত্রে কাজ করবে চোখের পাতার ইশারা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সাল থেকে এই সারকো বাজারে বিক্রি করা হবে।