`এনকাউন্টার ম্যান`! নামের সঙ্গে সুবিচার আগেও করেছেন পুলিস কমিশনার সজ্জনার
পুলিসের নামে জয়ধ্বনি। সিংহভাগ লোকজন বলছেন, হায়দরাবাদের ধর্ষিতা বিচার পেলেন। হায়দরাবাদের পশু চিকিত্সক ধর্ষণকাণ্ড যেভাবে নাটকীয় মোড় নিল তাতে শুক্রবার সাত সকালে গোটা দেশ অবাক। চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টারে খতম করেছে পুলিস। আর এই এনকাউন্টারের নেপথ্যে যিনি, সাইবারাবাদের পুলিস কমিশনার ভিসি সজ্জনারকে নিয়ে এখন গোটা দেশে জোর আলোচনা চলছে।
কে এই ভিসি সজ্জনার? কেন তাঁর নাম এনকাউন্টার ম্যান নামে পরিচিত! ভিসি সজ্জনারের এনকাউন্টারের ইতিহাস অনেক পুরনো। এর আগেও একাধিক এনকাউন্টারে তাঁর নাম জুড়েছে।
২০০৮ সালে বারঙ্গলের এসপি ছিলেন সজ্জনার। সেই সময় শ্রীনিবাস রাও নামের এক যুবক দুই বন্ধুর সঙ্গে মিলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্রীর উপর অ্যাসিড হামলা চালিয়েছিল। সেই ঘটনায় ক্ষোভে ফুটছিল বারঙ্গলের লোকজন। বাড়ছিল উত্তেজনা।
শ্রীনিবাস রাও ধরা পড়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁকে ও তাঁর বন্ধুদের এনকাউন্টারে খতম করে পুলিস। সজ্জনার জানান, প্রমাণ সংগ্রহের সময় পুলিসের হাত থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা। ক্রস ফায়ারিংয়ে মারা হয় তাঁদের। এই ঘটনার পর সেই ছাত্রীর সহপাঠীরা সজ্জনারের বাড়ি গিয়ে তাঁকে ফুলের মালা পরিয়ে এসেছিল। এলাকায় যুবক-যুবতীদের কাছে রাতারাতি হিরো হয়ে গিয়েছিলেন সজ্জনার।
অন্ধ্রপ্রদেশে সক্রিয় মাওবাদীরা সজ্জনার নাম শুনলেই ভয়ে কেঁপে উঠত একটা সময়। মাওবাদীদের অনেককেই এনকাউন্টারে খতম করেছিলেন সজ্জনার। পুলিস কমিশনার হিসাবে মাত্র দেড় বছর আগেই দায়িত্ব নিয়েছেন সজ্জনার। তবে এরই মধ্যে তিনি খবরে। গোটা দেশ এখন এক ডাকে তাঁকে চিনে ফেলছে।