লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, মুদিখানার দোকান দিলেন পরিচালক
লকডাউনে গোটা দেশের অর্থনীতির সঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়েছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসাও। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই। (ছবি- ANI)
লকডাউনের কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন দক্ষিণী ছবির পরিচালক আনন্দ। তাঁর অনেকগুলি প্রজেক্ট মাঝপথেই আটকে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অগত্যা চেন্নাইতে মুদিখানার দোকান দিতে হয়েছে পরিচালক আনন্দকে। (ছবি- ANI)
পরিচালক আনন্দের কথায়, ''লকডাউনে সকলেই গৃহবন্দি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত। তিনমাস ধরে বাড়িতে বন্দি, কাজের তো দরকার রয়েছেই, তাই ভাবলাম যদি কয়েকমাসের জন্য মুদিখানার দোকান দেওয়া যায়... '' (ছবি- WION)
WION-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিচালক আনন্দ জানান, ''টানা বাড়িতে আটকে থাকতে ভালোও লাগছিল না, দেখলাম, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের প্রচুর চাহিদা রয়েছে, তাই এই সিদ্ধান্ত নিলাম। ''
(ছবি- ANI)
WION-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিচালক আনন্দ জানান, ''আমার যদিও মুদির দোকানদারী করার অভ্যাস নেই, তবুও অল্প পুঁজি নিয়েই বিনিয়োগ করি। বাড়ির সামনেই একটা দোকানঘর খুঁজছিলাম। আমার এক বন্ধু ভাড়া দিল।''
(ছবি- ANI)
পরিচালক আনন্দের কথায়, ''আমার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে অবশ্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আমার সহকর্মীরা খুশি নন, তবুও আমি এই কাজে এগিয়ে আসি।''
(ছবি- ANI)
পরিচালক আনন্দের কথায়, ''এই ব্যবসা থেকে যা লাভ হবে, তা দিয়ে যদি কিছু অভাবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি, ভালো লাগবে।''
(ছবি- ANI)
আনন্দ জানান, '' আমি দোকানের বাইরে একটা বোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছি কী কী, এখানে পাওয়া যায়, দাম কত...। কিছু জিনিসের উপর ছাড়ও দিচ্ছি, তাই ভালোই ভিড় হচ্ছে। আমার সঙ্গে এখানে বেশ কয়েকজন কাজও করছে।''
(ছবি- ANI)
আনন্দের কথায়, ''আমার কিছু স্বল্প বাজেটের ছবি রয়েছে, ওগুলি OTT প্লার্টফর্মে বিক্রির কথাও ভাবছি। ''
(ছবি- ANI)
প্রসঙ্গত, 'ওরু মাজহাই নাংগু সরল', এবং 'মৌনা মাজহাই'-এর মত তামিল ছবি বানিয়েছেন পরিচালক আনন্দ।।