Tarapith: আবির্ভাব তিথিতে তারাপীঠে ভক্তের ঢল! জানুন এই দিনটির মাহাত্ম্য, কী ছিল স্বপ্নাদেশ?
প্রসেনজিৎ মালাকার: আজ শুক্ল চতুর্দশী। আজ আবির্ভাব তিথি। তারাপীঠে আজ মা তারার আবির্ভাব দিবস। এদিন ভোরবেলাতেই মা তারাকে মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে থেকে বিশ্রামখানায় নিয়ে আসা হয়।
এরপর মাকে স্নান করিয়ে রাজবেশে সাজানো হয়। মায়ের শীতল আরতি হয়। বিরামখানায় সারাদিন ধরে চলে মায়ের পূজো। আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে আজ ভোর থেকেই ভক্তের সমাগম তারাপীঠ মন্দিরে।
আজকের দিনে মায়ের কোনও ভোগ হয় না। মায়ের ভোগ না হওয়ায় সেবাইতরাও উপবাস থাকে। সারাদিন ধরে চলে পুজোপাঠ। আজকের দিনে মা তারাকে ২ বার স্নান করানো হয়।
কথিত আছে, শারদীয় চতুর্দর্শীতেই বশিষ্ঠ মুনি সাধনার মাধ্যমে মা তারাকে দেখতে পান। সেই স্বপ্নে দেখা মূর্তি দীর্ঘকাল শ্মশানের শ্বেত শিমুল গাছের মাটির নীচে ছিল।
পরে বণিক জয় দত্ত সদাগর সেই মূর্তি তুলে মাকে মূল মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। তাই এই দিনটিকেই মা তারার আবির্ভাব দিবস হিসেবে ধরা হয়।
প্রতিবছর শুক্লা চতুর্থীকে মা তারার আবির্ভাব দিবস হিসেবে পালন করা হয় তারাপীঠে। প্রত্যেক বছর এই দিনে তারাপীঠে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়।
এদিন চিরাচরিত রীতি মেনে মূল মন্দির থেকে বের করে বিগ্রহকে রাখা হয় বিরাম মঞ্চ বা বিশ্রামাগারে।