Taslima Nasarin: `ওরাও মুসলিম কিন্তু...` মরক্কোর ফুটবলারের স্ত্রীর খোলামেলা ছবি শেয়ার তসলিমার
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হিজাব বিতর্কে ফের সরব তসলিমা নাসারিন। আর এবার হিজাব পরা ও না পরার প্রসঙ্গে বিশ্বকে স্পষ্ট বার্তা দিতে বিশ্বের সেরা স্পোর্টিং ইভেন্টকেই বেছে নিলেন তসলিমা নাসারিন। এবার ফুটবল বিশ্বকাপে তাক লাগিয়েছে মরক্কো। ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে মরক্কো। প্রথম আফ্রিকান-আরব দল হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে মরক্কো।
আর সেই মরক্কো ফুটবল দলের স্টার সদস্য আছরাফ হাকিমি ও তাঁর স্ত্রী হিবা আবুকের ছবি-ই এবার ঠাঁই পেল তসলিমার টুইটে। মরক্কো বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে উঠতেই লাইমলাইটে এখন সেদেশের ফুটবল দলের প্লেয়াররা। সঙ্গে তাঁদের পার্টনার থেকে স্ত্রীরা। ইতিমধ্যেই বেশ ভাইরাল মরক্কো ফুটবল দলের সদস্য আছরাফ হাকিমি ও তাঁর স্ত্রী হিবা আবুকের ছবি।
এবার যুগলের ছবি নিজের টুইটারে শেয়ার করেই হিজাব বিতর্কে স্পষ্ট ও তীব্র বার্তা দিলেন তসলিমা নাসারিন। আছরাফ হাকিমি ও তাঁর স্ত্রী হিবা আবুকের ২টি ছবি শেয়ার করেছেন তসলিমা। ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, 'মরক্কোর স্টার ফুটবলার আছরাফ হাকিমি ও তাঁর স্ত্রী। তাঁরা মুসলিম এবং তাঁরা বোরখা বা হিজাব পরে নেই।' স্বাভাবিকভাবেই তসলিমা এই পোস্ট করতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ভাইরাল তসলিমার এই পোস্টটিও। উল্লেখ্য, হিবা আবুক পেশায় একজন সুপার মডেল। ডাকসাইটে সুন্দরী হিবা আবুকের অভিনেত্রী হিসেবেও নাম-ডাক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, হিজাব না পরার 'অপরাধে' মাশা আমিনিকে বন্দি করে ইরান পুলিস। পুলিসের হাতে বন্দিদশাতেই মাশা আমিনির মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই আগুন জ্বলছে ইরানে। ইরানের সমস্ত মানুষ একত্রিত হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান। কেন এবং কীভাবে মাশার মৃত্যু হয়েছে? তা জানতে চায় দেশবাসী। ইরানবাসীর ধারণা, পুলিসি অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে আমিনির।
যদিও পরে ইরান সরকার দাবি করে যে, মোটেই কোনও পুলিসি অত্যাচারে মৃত্যু হয়নি মাশা আমিনির। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু তাতেও ক্ষোভের আগুন নেভেনি ইরানে। বরং, পুলিসি হেফাজতে ২২ বছরের যুবতী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে বিক্ষোভকারীরা ইরানের ধর্মগুরু শাসকদের উৎখাতের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে।
ওদিকে আবার টার্গেট করে ইরানে বিক্ষোভরত নারীদের স্তন ও যৌনাঙ্গে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে! শুধু ইরান নয়। হিজাব পরা নিয়ে তালিবানি অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে আফগান যুবতীকেও। হিজাব না পরার অপরাধে প্রকাশ্য রাস্তায় আফগান যুবতীকে তালিবানদের চাবুক মারার ভিডিয়োও ভাইরাল হয়।